নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের বাহুবলের জয়পুরে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। গণধর্ষণের পর সিগারেটের আগুন দিয়ে তরুণীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দিয়েছে ধর্ষকরা।
মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সদর হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণী জানান, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার দিঘিবরাবর গ্রামের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তার একটি বিয়ে হয়। ৬ মাসের মাথায় স্বামী মারা যায়।
বাবার অভাব অনটনের সংসারে তিনি গার্মেন্টে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একটি অনুষ্ঠানে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের তৈয়ব খার মেয়ে লিপি আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। পরে বান্ধবী লিপি তার ভাই বাহুবল উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত সোমবার দুপুরে আলম তার বোনের বান্ধবী ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই তরুণী বিয়ের কথা বললে রাতে তাদের বিয়ে হবে বলে জানায় আলম।
পরে একটি নির্জন বাড়িতে তরুণীকে নিয়ে যায় আলম। সেখানে নিয়ে রাতভর আলমসহ বেশ কয়েকজন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে তরুণীকে রাস্তায় ফেলে যায় ধর্ষকরা। অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বাহুবল থানা পুলিশের ওসি মাসুক আলী জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ১ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন