প্রেমের টানে নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের বাহুবলের জয়পুরে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক যুবতী। শুধু তাই নয়, তাকে সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেয়া হয়। পরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে আটক করেছে।
হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ওই যুবতী জানান, সে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার দিঘিবরাবর গ্রামের মৃত মনোয়ার হোসেনের কন্যা। তার একটি বিয়ে হয়। ছয় মাসের মাথায় স্বামী মারা যায়। পিতার অভাব-অনটনের সংসারে সে গার্মেন্টেসে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। একটি অনুষ্ঠানে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের তৈয়ব খার কন্যা লিপি আক্তারের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। লিপি তার ভাই বাহুবল উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। গত সোমবার দুপুরে আলম ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। বিয়ের কথা বললে আলম জানায় রাতে তাদের বিয়ে হবে। রাতে একটি নির্জন বাড়িতে তাকে নিয়ে যায় আলম। সেখানে রাতভর আলমসহ বেশ কয়েক যুবক তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে ছ্যাকা দেয়।
মঙ্গলবার বিকালে তাকে রাস্তায় ফেলে দিলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতালে থেকে দুই তিন যুবক তাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই যুবকরা সটকে পড়ে।
যুবতী জানায়, স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় ওই যুবকও তাদের সাথে ছিল।
অপর একটি সূত্র জানায়, ওই যুবতী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ফতুল্লা থানায় জিডি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ওসি মাসুক আলী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জড়িত থাকার সন্দেহে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন