মো. মজনু মোল্লা। ২০০৪ সালের নভেম্বরে কনস্টেবল পদে যোগ দেন পুলিশ বিভাগে। ২০১৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় আসেন এএসআই হয়ে। এই দশ বছরে তার বিরুদ্ধে ছিল নানা অপকর্মের অভিযোগ। ইয়াবা সেবনকারী মজনু মোল্লা সময়ের পরিক্রমায় হয়ে ওঠেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। প্রতিদিন তিনি নিজে ১০ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করতেন। পাশাপাশি চলত বিক্রিও। মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুরুত্ব না দেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। রাজধানীর খিলগাঁও ও শাহজাহানপুর থানায় থাকাকালে মাদক সম্রাজ্ঞী চুন্নির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গড়ে তোলেন শক্তিশালী ইয়াবা ব্যবসার সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সদস্য ছিল বেশিরভাগই নারী।
২০১৬ সালে মাদকসংক্রান্ত একটি অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) হয়ে সর্বশেষ রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে (লাইন ওয়ারি) সংযুক্ত ছিলেন মজনু মোল্লা। তার পরও সংশোধন হননি, বরং সাসপেন্ড থাকা অবস্থায় আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। চলতে থাকে মাদকের কারবার। অবশেষে গত বুধবার রাতে খিলগাঁওয়ের আমান উল্লাহ সুপার মার্কেটের অদূরে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির সময় ইয়াবাসহ এএসআই মজনু মোল্লাকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানকালে তার সহযোগী দক্ষিণ বাসাবোর বাসিন্দা সঞ্জয় (৪০) পালিয়ে গেলেও মজনুর কাছ থেকে পুলিশ জব্দ করে ৪১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ইয়াবা বিক্রির ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই খিলগাঁও থানার এএসআই মো. নাসির উল্লাহ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। খিলগাঁও থানার মামলা নম্বরÑ৬৬। গতকাল আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয় মজনুকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন