রক্তদহ বিলের প্রধান শাখা খালে অপরিকল্পিত দুইটি ক্রসড্যাম নির্মাণের ফলে নওগাঁর রাণীনগর এবং বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বিঘা জমির পাকা-আধাপাকা ইরি-বোরো ধান তলিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি শাখা খালগুলো দিয়ে এসে জমা হয়েছে রক্তদহ বিলে। কিন্তু বিলের উজানে সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের পাশে এবং ভাটিতে রাণীনগর উপজেলায় তিলাবাদুরী ও আকনা বাঁশবাড়িয়ায় নির্মিত ক্রসড্যামের কারণে এই পানি আত্রাই নদীতে যেতে পারছে না।
এতে রক্তদহ বিল সংলগ্ন রাণীনগর উপজেলার বোদলা, পালসা, তেবাড়িয়া ও বিশিয়া এবং আদমদীঘি উপজেলা সদর ইউনিয়নের করজবাড়ি, দক্ষিণ গনিপুর, কদমা, সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিরা, দমদমা, কাশিপুর, ছাতনি ও ঢেকড়াসহ অন্তত ১৫ গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বিঘা জমির পাকা আধাপাকা ইরি-বোরো ধান বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে হুমকির মুখের পড়েছে।
বোদলা, পালশা, তেবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সাঈদ মাস্টার, ইয়াকুব আলীসহ কয়েকজন কৃষক জানান, অপরিকল্পিত ক্রসড্যামের কারণেই গত ৪ বছর ধরে বিদ্যমান এই সমস্যা। এই বিষয়ে আমরা আদমদীঘি ও রাণীনগর উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পায়নি।
অপরিকল্পিত ক্রসড্যামের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চলতি মৌসুমের উঠতি ইরি-বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার।
তবে এই বিষয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, ক্রসড্যামের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ক্রসড্যামের আরএল বিলের আরএল’র সমান। আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি, স্লুইসগেটের সমস্যা এবং কচুরিপানার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, বৃষ্টির পানি ধরে রেখে প্রয়োজনের সময় সেচ দেয়ার জন্য ২০১৪ সালে ক্রসড্যাম ২টি নির্মাণ করে নওগাঁ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন