সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গতকাল রাতে যেসব ছাত্রলীগ নেতারা আমাদের উপর হামলা করতে এসেছিল তারা সবাই কোটাধারী । তারা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পি, মহসিন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী ও চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুল ইসলাম লিমন।
বুধবার (১৬ মে) দুপুর ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাকারের সামনে থেকে পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের উপর হামলার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, মহসিন হল, ভিসি চত্বর, শহীদ মিনার, কার্জন হল এলাকা দিয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছি কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করেছে। তেমনিভাবে গতকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের ১১৯ রুমে ছাত্রলীগের নেতারা আমাকে পিস্তল দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
নুর সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলার ছাত্রসমাজকে নিয়ে খেলবেন না। আগুন পুড়ে ছাই হয়ে যাবেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের এসময় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। এগুলো হল- ‘হুমকি দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘গুলি দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, নু‘র ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘কুত্তা দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’।
উল্লেখ্য, তারা শাহবাগ থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন