জৈন্তাপুরে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুরুষ মহিলাসহ দু'জনকে আটক করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিজপাট মোকামটিলা রঙ্গন বিবির বসত বাড়িতে দীর্ঘ দিন হতে মিনি পতিতালায় হিসাবে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। বিষয়টি বিবেচনা করে পুলিশ বাড়িটির ওপর কড়া নজর রেখে আসছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে পুলিশ ১৬ মে দিবাগত রাত ১১টায় জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের নিদেশে এসআই মোজ্জামেল হোসেনে ও এএসআই তাজুল ইসলামের সঙ্গীয় ফৌস নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু সংখ্যাক খদ্দর পালিয়ে গেলে দু'জনকে আটক করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। আটকৃতরা হলেন জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (২৮) এবং নিজপাট ইউনিয়নের তিলকৈপাড়া গ্রামের শফিক আহমদের মেয়ে নাজমা বেগম (২০)। গতকাল ১৭ মে দুপুর ১২টায় আটককৃতদের কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মোঃ মাঈনুল জাকির বলেন- জৈন্তাপুর উপজেলায় মাদক, ভারতীয় তীরখেলা, জুয়া খেলা মিনি পতিতালয় ধব্বংসে মডেল থানা পুলিশ জিরো টলারেন্সনীতি অবলম্বন করে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় মিনি পতিতালয় অভিযান পরিচালনা করে ২জনকে আটক করা হয়। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
জৈন্তাপুরে শার্শী ছড়ায় প্রশাসনের অভিযানের ৭২ঘন্টার মাথায় ফের বাঁধ
সিলেটের জৈন্তাপুরে উচ্ছেদ অভিযানের ৭২ঘন্টার মধ্যে ঘন্টার মধ্যে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ফের শার্শী ছড়ার খালে বাঁধ নির্মাণ করেছে গৌছ মিয়া। প্রশাসনের পক্ষে থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শার্শী ছড়ার খালে বাঁধ দিয়ে ছড়ার .৯৯শতক ভূমি দখল করে রেখেছে প্রভাবশালী ভূমিখেকু ও পাহাড় কর্তনকারী চক্রের অন্যমত সদস্য গৌছ মিয়া। বাঁধের কারণে ছড়ার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানি অভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজকর্মে ব্যবহার্য পানি পাচ্ছেন না। অপরদিকে বাঁধের উপরিংশের লোকজন অতিরিক্ত পানির ফলে ফসলী জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কাছে একাধিকবার অভিযোগ করে। এনিয়ে গত ১৪ মে বিকেল ৩টায় উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) মুনতাসির হাসান পলাশ পুলিশ ফৌস নিয়ে শার্শী ছড়ার খালের উপর অবৈধ ভাবে নির্মিত বাঁধ ভেঙ্গে ছড়ার গতি ফিরিয়ে আনেন। এদিকে প্রভাবশালী ভূমিখেকো পাহাড় কর্তনকারী চক্রের মূূলহোতা নিজপাট গুয়াবাড়ী গ্রামের গৌছ মিয়া ও তার ছেলেরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুনরায় শার্শী ছড়ার খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করে এবং বাঁধ কর্তন প্রক্কালে যে সকল শ্রমিকরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করে তাদেরকে মামলা হামলার হুমকী ধমকী দিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ নাগরিকরা বলে অভিযানের ৭২ ঘন্টার মধ্যে গৌছ মিয়া বাঁধটি পুনরায় নির্মাণ করায় সাধারণ মানুষ মনে করছে প্রশাসনের চেয়ে অধিক শাক্তিশালী অবৈধ ভাবে দখলকারী গৌছ মিয়া। তারা আরো বলেন, গৌছ মিয়া গোয়াবাড়ী এলাকায় তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন পাহাড় ও টিলা কর্তন করে পাথর উত্তোলন ক্রয় বিক্রয়, জায়গা দখল সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। তার প্রভাবে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। যদি কেউ কোন কথা বলে তাহলে নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অযুহাতে সাধারন মানুষকে নির্যাতন করে।
সরেজমিনে বাঁধ ঘুরে ছবি ধারন করতে গেলে গৌছ বাহিনীর কাছে নাজেহাল হতে হয়েছে এবং বাঁধার মুখে বাঁধের ছবি ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির হাসান পলাশের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয় শ্রমিকরা আমাকে জানায়। সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টি এবং সরকারী খাল দখল, পানির গতি ধারা পরিবর্তন করে ভুমি দখলের দায়ে গৌছ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে এবং প্রয়োজনে উধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জৈন্তাপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ১৩ হাজার ৪শত টাকা জরিমান আদায়
জৈন্তাপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার করে ৮টি মামলা দায়ের, ১৩ হাজার ৪শত টাকা জরিমানা আদায়। নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ঘোষনা।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সদরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম গত ১৬ মে বুধবার সন্ধ্যায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন, অবৈধ পার্কিং, লাইসেন্সবিহীন চালক ও কাগজ বিহীন গাড়ী, এবং অবৈধ ভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনায় দায়ে অভিযান পরিচালনা করে ৮টি মামলা দায়ের করে ১৪ হাজার ৪শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান পরিচালনা কালে উপস্থিত ছিলেন স্যানোটারি ইন্সপোক্টার শহিদুল ইসলাম মোল্লা, জৈন্তাপুর মডেল থানার সেকেন্ড ইন কমান্ড ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্জ রাজন, সাধুমান মান্না, মোঃ জামাল, সাংবাদিক আবুল হোসেন মোঃ হানিফ। অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মৌরীন করিম বলেন, উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের যাত্রী ছাউনি ছাড়াই চালক ও মালিকরা রাস্তা দখল করে গাড়ী পার্কিং করায় এ্যাম্বুলেন্স সহ রোগীবাহি গাড়ি যাতায়তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, মেডিকেল গেইট হতে ষ্টেশন বাজার পর্যন্ত রাস্তার পার্শ্ব দখল করে অবৈধভাবে দোকান স্থাপন করা, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করার জন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালানা করি। সেই সাথে মেডিকেল গেট হতে ষ্টেশন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যদি তারা দোকান সরিয়ে না নেয় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মধ্যেমে আদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অদ্য হইতে জৈন্তাপুরের বিভিন্ন হাটবাজারে ফুটপাত দখল মুক্ত করা হবে এবং সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে অবৈধ পার্কিং করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা মাধ্যমে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। সেই সাথে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও গাড়ির মালিক-চালক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন