দেশের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে সাত মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে এ খবর পাওয়া যায়।
এদের মধ্যে যশোরে পুলিশের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২০ মে) রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া ও খোলাডাঙ্গা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম জানা যায়নি। লাশগুলো যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
যশোর উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম বলেন, সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের নওয়াব আলীর খেজুর বাগানে মাদকের বড় একটি চালান রয়েছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান চালানো হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে ঘটনাস্থলে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুইটি শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, চারটি গুলির খোসা ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, রবিবার (২০ মে) রাত সোয়া ৩টার দিকে খবর আসে সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা-মন্ডলগাতির মাঝামাঝি স্থানে দুইদল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। খবর পেয়ে পৌনে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লোকটির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর হবে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, দুইটি গুলির খোসা ও ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের আরো চার জেলায় পৃথক পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চার মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়েচেন। মাদকব্যবসায়ীরা হলেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একজন, রাজশাহীর বেলপুকুরে একজন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের একজন ও টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের একজন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন