বায়েজীদ হাসান আড়াই বছরের এক শিশু, অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের ছিল তার জন্ম। আর অসচেতনতার অভাবেই শিশুটি অপুষ্টির শিকার হয়। এই বয়সেই জটিল অসুস্থ হয়ে বৃদ্ধের মত শারীরিক অবয়ব ধারণ করে সে। পরিবারের লোকজন দিন আনে দিন খায় বিধায় শিশুটির পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল শিশুটি। হয়ত স্বজনরা মৃত্যুকেই নিয়তি মেনে নিচ্ছিল।
অবশেষে গত ১৯ মে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বায়েজীদ কি পারবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে! শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হলে ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব এনাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু শিশুটিকে রবিবার সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে ভর্তি করান। এসময় শিশুটি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার চিকিৎসার সব ব্যয়ভার নিজে গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে ড্যাবের অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু সংবাদমাধ্যমকে জানান, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, এ শিশুটির সংবাদ শোনার পর তার জীবনবোধের নৈতিকতা থেকে তিনি শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এই পরিবারটি সমাজের অবহেলিত একটি পরিবার, তাদের কথা ভেবে তিনি চিকিৎসার ব্যয়ভারও গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শিশু হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. শাহজাহান জানান, শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সালাউদ্দিন বাবলুর অধিনে ৩য় তলার ৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।
শিশু বায়েজীদ শ্রীপুর পৌর এলাকার লোহগাছ গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে তার বাবা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দপ্তরি ও মা একটি কারখানায় আয়ার কাজ করেন। তাদের বাস শ্রীপুর রেলসড়কের জমির উপর স্থাপিত ছোট খুপরি ঘরে।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন