বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার যাত্রীছাউনি দখল করে দোকান বসালেন আওয়ামীলীগ নেতা এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা।
সুরুজ মোল্লা বরিশালের চারকাউয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চরআইচার মৃত কাঞ্চন আলী মোল্লার ছেলে। ইউএনও অফিস থেকে একাধিকবার ওই যাত্রীছাউনি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হলেও সুরুজ মোল্লা তা ছাড়েননি। তবে এ ব্যাপারে সদর উপজেলার ইউএনওকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিচালক।
বরিশাল সদর উপজেলা কার্যালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সড়ক ও জনপথের জমিতে ৪০ ফুট লম্বা এবং ১৬ ফুট প্রস্থ যাত্রীছাউনি করার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
ওই বরাদ্দ নিয়ে সেখানে যাত্রীছাউনি নির্মাণ করেন সুরুজ মোল্লা। পাশাপাশি যাত্রীছাউনির কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে মর্মে পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে আরও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই ২ লাখ টাকার ঠিকাদারি কাজ পান বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়ার খান ব্রাদার্সের মালিক মোনাবর হোসেন খান। কাজ শেষ করার পরপরই যাত্রীছাউনির বড় একটি অংশ দখল করে নেন আওয়ামীলীগ নেতা সুরুজ মোল্লা।
দখল করে সেখানে বাসের কাউন্টার বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে যাত্রীছাউনিতে শাটার লাগিয়ে ফলের দোকানিদের কাছে ভাড়া দেন। এভাবে দীর্ঘদিন চলার কারণে যাত্রীরা কোনোভাবেই ছাউনি ব্যবহার করতে পারছে না। বিষয়টি বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করা হলে ইউএনও অফিস থেকে সুরুজ মোল্লাকে যাত্রীছাউনির দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হয়।
কিন্তু যাত্রীছাউনি দখল না ছাড়ায় সর্বশেষ সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মো. আব্দুস সালাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবিরকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনে তিনি দেখতে পান যাত্রীছাউনির বড় একটি অংশ দখল করে সুরুজ মোল্লা শাটার লাগিয়ে দোকান ঘর করেছেন। ওই স্থানে বসেই পরিচালক আব্দুস সালাম ইউএনওকে দ্রুত অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে যাত্রীছাউনি উদ্ধারেরও নির্দেশ দেন।
যাত্রীছাউনিতে শাটার লাগিয়ে দোকানঘর করার বিষয়টি স্বীকার করে সুরুজ মোল্লা বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতর যেকোনো সময় শাটার ভেঙে নিয়ে যেতে পারে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ওই স্থান থেকে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে যাত্রীছাউনি জনগণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন