মানুষকে খাওয়ানো মহৎ গুণ। এর দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয়। এখানে সাধারণ ও অসাধরণ বলতে কোন পার্থক্য নেই। মুসলিম অমুসলিম বলে পার্থক্য নেই। অমুসলিমকে খাওয়ালেও সওয়াব হবে। তবে জাকাতের অর্থ তাদের দেয়া যাবে না। কারণ জাকাত একটি আর্থিক ইবাদত।
অনেক সময় দেখা যায়, অমুসলিমরা মুসলিমদের ইফতারে দাওয়াত দিয়ে আপ্যায়ন করে। এটি তাঁর (ইফতার প্রদানকারী) কাছ থেকে নেওয়া নাজায়েজ নয় বা হারাম নয়। তবে মুসলিমদের জন্য উত্তম হচ্ছে তাঁরা নিজেরা ইফতারের আয়োজন করবে অথবা কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি তাঁদের ইফতার করায়, তাহলে ইফতার করবে।
পক্ষান্তরে যদি কোনো অমুসলিম মনে করেন যে, এখানে মুসলিম যারা আছে, তাদের ইফতার করালে সামাজিক একটা ভালো কাজে অবদান রাখা যায়, তাহলে এই কাজটি হারাম নয়। সুতরাং যদি তাঁর ইফতার করা হয় তাহলে তা হারাম হবে না। শর্ত হলো, হারাম কোনো বস্তু যেন না দেওয়া হয়। কারণ, ইফতারের খাবার অবশ্যই হালাল হতে হবে। এমনকি তাদের জবেহকৃত প্রাণীও খাওয়া জায়েজ হবে না। শুকনা খাবার খাওয়া যাবে।
কিন্তু অমুসলিমদের সাথে একত্রে বসে তাদের বরতনে খাওয়া মাকরূহ, তবে ঠেকা বশতঃ হলে জায়েয। আর যদি জানা থাকে যে, তাদের বরতন নাপাক তাহলে জায়েয নয়। (ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন