সুবর্ণচরে অপহৃত সেই বয়ফ্রেন্ড ও কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম ওরফে সাগরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তার গার্লফ্রেন্ড বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে। সেই অপহরণের ৪ দিন পর কলেজ ছাত্র কামরুলের গলাকাটা লাশ ড্রেন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিকা গার্লফ্রেন্ড মমতাজ বেগম ও তার মা হাসিনা আকতারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চরবাটা ইউনিয়নের মধ্যম চরবাটা গ্রামের মোজাম্মেল মাঝির বাড়ির উত্তর পাশে ড্রেন থেকে সগারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি একই গ্রামের বনবিভাগের কর্মচারী নুর ইসলামের ছেলে। শনিবার রাতে বসত ঘর থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম একই বাড়ির চাল ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ, তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার, মেয়ে মমতাজ বেগম, দোকান কর্মচারী মিঠু চন্দ্র দাসসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
জানা গেছে, কামরুল উপজেলার সৈকত ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। পাশের খাসেরহাট বাজারের চাল ব্যবসায়ী একই বাড়ির রহমত উলাহর মেয়ে মমতাজ বেগমও একই কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়েন। ৩-৪ বছর ধরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সম্পর্ক ছিন্ন করতে সতর্ক করেন অভিভাবকরা।
কিন্তু এর পরেও ওই কলেজছাত্রী সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে বয়ফ্রেন্ড কামরুলকে অপহরণ করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠে। এঘটনার কয়েকদিন পর মঙ্গলবার কামরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ক্যাম্পাসলাইভ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন