জাতীয় নির্বাচনের আগে এবারের ঈদে সর্বত্র ভোটের হাওয়া। সংসদ সদস্য ও জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নেমে পড়েছেন প্রচারে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতিও সেরেছেন। ইতোমধ্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে ফেলেছেন নির্বাচনী এলাকা। বেশিরভাগ সংসদ সদস্য ও সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় পৌঁছে শুভেচ্ছা বিনিময়ও শুরু করেছেন। কয়েক বছর ঈদগুলোয় এই কাজে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাই এগিয়ে ছিলেন। তবে এবার বিএনপিসহ অন্য দলের প্রার্থীরাও বেশ তৎপর। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারাও নিজ নিজ এলাকা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আমাদের সময়ের কাছে জানিয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৬ মাস আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের ঈদুল ফিতর। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চায় আওয়ামী লীগ। রোজার মাসের শুরু থেকেই সারাদেশে নির্বাচনী ঈদের আবহ তৈরি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় এমপি-মন্ত্রীদের পাশাপাশি, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ঈদ সামনে রেখে নির্বাচনী জনসংযোগ বাড়িয়েছেন, এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন প্রবাসীরাও।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, রোজা ও ঈদ সামনে রেখে দলের সব নেতাকর্মী নিজ নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে তৃণমূলের জনমতকে। সংশ্লিষ্ট আসনের সাধারণ মানুষের সমর্থনের পাল্লা যার দিকে ভারী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়েও এগিয়ে থাকবেন তিনি। এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও এবারের ঈদকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছেন।
এ ছাড়া প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের দিন গণভবনে দলের নেতাকর্মীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই ঈদ করবেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। অনেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় সময় দিয়ে ঈদের দিন সকালে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনের শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বে যোগ দেবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা গড়ে ৫ জন। এদের সবাই নিজ নিজ এলাকায় ঈদ সামনে রেখে নির্বাচনী জনসংযোগ করছেন। ঈদকে সামনে রেখে নাটোর-৪ আসনে রোজার মাসে ধারাবাহিক ইফতার আয়োজন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক আহম্মদ আলী মোল্লা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি ঈদের দিনও নাটোরের গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম উপজেলায় সময় কাটাবেন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক মাসুদ দুলাল। সাবেক এই ছাত্রনেতা পুরো রোজার মাসে নিয়মিত নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে জনসংযোগ চালিয়েছেন।
এবারের ঈদের আগে দেশের বাইরে থেকেও বাংলাদেশে এসে জনসংযোগ চালাচ্ছেন অনেকেই। কুয়েত আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মো. শহীদ ইসলাম পাপুল। তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। ঈদ উপলক্ষে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের গরিবদের মাঝে প্রতি ইউনিয়নে এক হাজার ও পৌরসভা এলাকায় তিন হাজার করে মোট ২২ হাজার শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এ দৌড়ে পিছিয়ে নেই বর্তমান এমপিরাও। সরকারের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা প্রত্যেকেই ঈদ উপলক্ষে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছুটে গিয়েছেন। ইফতার মাহফিল, শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ থেকে শুরু করে মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নসহ নানাবিধ দৃশ্যমান কাজে নিজেদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছেন তারা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের সময়কে বলেন, আর ৬ মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে ঈদ আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ। ঈদের সময় দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে এলাকার প্রায় সবাইকে কাছে পাওয়া যায়। আমাদের দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের ঈদের সময় নিজ নিজ এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধ্রুী আমাদের সময়কে বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর আমরা সবাই একযোগে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করব।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলে। নেতাকর্মীদেরও প্রতিনিয়ত মামলা ও গ্রেপ্তারসহ নানা নির্যাতন মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ বৈরী পরিবেশে খালেদা জিয়াবিহীন এবারের ঈদ তাদের জন্য নিরানন্দের। ঢাকায়ও কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি। প্রতিবছর খালেদা জিয়া যেসব কর্মসূচি নিতেন যেমনÑ রাজনীতিবিদ, দেশের সুশীলসমাজের প্রতিনিধি, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়; তা হচ্ছে না। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও দেওয়া হয়নি বিশেষ কোনো নির্দেশনা। মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা বিশেষ করে ছাত্রদলের সাবেক নেতারা ভোটারদের মন আকৃষ্ট করতে নিজ-নিজ এলাকায় ঈদ করবেন বলে জানান। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বিষয়ে জনমত গঠন। মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা জানান, রমজানজুড়েই ইফতার মাহফিল আয়োজন করেছেন; ঈদেও শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি এবং নগদ অর্থ দেওয়ার কার্যক্রম করছেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলায় রাজনৈতিক কারণে বন্দি। প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি তিনি নিতেন, এবার তা হচ্ছে না। এবারের ঈদের দিন বিএনপি মহাসচিব ঢাকাতেই থাকছেন বলে জানান।
খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দির সপ্তাহখানেক আগে থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় বন্দি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় আমাদের ঈদ নিরানন্দের। দিনটিতে ম্যাডামের স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতারা সাক্ষাৎ করতে জেল গেটে যাবেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার ও তার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। এবারের ঈদে নেতাকর্মীদের বিশেষ কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নোয়াখালী, ড. আবদুল মঈন খান নরসিংদী, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রাম, বরকত উল্লাহ বুলু ও মো. শাজাহান তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার বরিশাল, খায়রুল কবির খোকন নরসিংদী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ফরিদপুর ঘুরে এসেছেন। তারা ঈদের দিন অথবা পরের দিন নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নির্বাচনী এলাকা ঢাকা ৩-এ রমজানজুড়ে দরিদ্র মানুষের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি। ঈদেও নেতাকর্মী ও দরিদ্র মানুষের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি বিতরণ করছেন। তিনি বলেন, সরকারের বাধায় এ ধরনের কল্যাণমূলক কার্যক্রম করাও এখন কঠিন হয়ে গেছে। আন্দোলন ছাড়া কোনো গতি দেখি না।
সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বুধবারও নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদককে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছেÑ এভাবে হবে না। আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি।
সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, কামরুজ্জামান রতন, রেহেনা আক্তার রানু, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, সাইফুল আলম নীরব, আবদুল আউয়াল খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, মোরতাজুল করীম বাদরু, ফরহাদ হোসেন আজাদ, শফিউল বারী বাবু, মুনির হোসেন, আবদুল মতিন, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ওবায়দুর রহমান চন্দন, মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকুসহ অর্ধশত বিএনপি নেতা নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।
২০-দলীয় জোটের শরিক এলডিপির কর্নেল (অব) অলি আহমেদ, রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, এম গোলাম মোস্তফা, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদের দিন অথবা পরের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
জাতীয় পার্টির সব সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদুল ফিতর পালনের নির্দেশ দিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সেই সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদেরও নিজ এলাকায় ঈদ করার জন্য বলেছেন তিনি। দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতিম-লীর ৩ সদস্য আমাদের সময়কে জানিয়েছে, জাতীয় পার্টি এখন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী। তাই এবারের ঈদটাকেও তারা জনসংযোগের কাজে ব্যবহার করবেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বর্তমান রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির অনিবার্যতার কথা তুলে ধরবেন।
এরশাদের প্রেস সেক্রেটারি ও জাপার সভাপতিম-লীর সদস্য সুনীল শুভ রায় আমাদের সময়কে বলেন, জাতীয় পার্টির নেতারা সব সময় জনগণের সঙ্গে ঈদ করে। এবারের ঈদও ভিন্ন কিছু হবে না। তবে বিশেষ কারণে আমাদের দলের চেয়াম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবার ঢাকায় থাকবেন। গুলশান আজাদ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে তিনি তার বনানী অফিসে গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
জানা গেছে, বর্তমান সরকারের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদও ঢাকায় ঈদ করবেন। দলটির আরেক কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও ঢাকায় ঈদ করবেন। ঈদ আনন্দের অংশ হিসেবেই তারা ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ করবেন।
পার্টির মহাসচিব এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার আমাদের সময়কে জানান, তিনি তার নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী-১ আসনের মানুষের সঙ্গে ঈদ করবেন। ঢাকা-৪ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা তিনিও ঈদ করবেন তার নির্বাচনী এলাকায়।
ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ঈদ করবেন তার নির্বাচনী এলাকায়। জাতীয় পার্টির সভাপতিম-লীর সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু ঈদ করবেন তার নির্বাচনী আসন চট্টগ্রাম-৯-এর জনগণের সঙ্গে। রংপুর-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙাও ঈদ করবেন নির্বাচনী এলাকায়। কিশোরগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু তার নির্বাচনী এলাকায়। চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু তার নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।
এ ছাড়া যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী তাদেরও তাদের প্রত্যাশার জায়গায় গিয়ে কাজ করার জন্য দলের কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে। ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৭ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইফুদ্দিন মিলন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আলমগীর সিকদার লোটনও নিজ নিজ এলাকা জনগণের সঙ্গে ঈদ পালন করবেন বলে জানা গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন