রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সাক্ষী ছিলেন সুমন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টায় খিলগাঁও বাগিচা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। নিহতের মরদেহ কমলাপুর রেলওয়ে থানা থেকে ময়নাতদন্তের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে এর সুরৎহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘শাহজাহানপুর থানা পুলিশের একজন এসআই-এর ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। তার শরীর ও মাথা দুইভাগ ছিল। এ ছাড়াও ডান কানের ওপরে ও কপালে দুইটা ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের কোনো যন্ত্রাংশ লেগে ক্ষতগুলো সৃষ্টি হয়েছে।’
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়েছে এটা নিশ্চিত হলেও কোন ট্রেনের সঙ্গে কাটা পরে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে পরিবারের কেউ হত্যার দাবি করেননি।’
সুমন জাহিদ উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় থাকতেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন