আধুনিক সমাজে যেসমস্ত বিষয় সহজেই প্রভাব বিস্তার করে তার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার অন্যতম। এর মাধ্যমে সহজেই জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো যায়। এসব বিষয় মাথায় রেখে ঈদের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে সব কেন্দ্রীয় নেতাকে ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সব নেতাকে ফেসবুক লাইভে আসতে উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। ঈদের পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম ফেসবুক লাইভে এসে এই কর্মসূচি শুরু করবেন। পর্যায়ক্রমে অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও আসবেন ফেসবুক লাইভে। এসময় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন নেতারা। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ লক্ষ্যও সেখানে বর্ণনা করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে উচ্চপর্যায় থেকে দলীয় নেতাদের বলা হয়েছে। সব কেন্দ্রীয় নেতাকে ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়াতেও বলা হয়েছে। কারণ আগামী সংসদ নির্বাচনে এই মাধ্যম যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে।
আ.লীগের এক নেতা জানান, সবার কাছে সহজে পৌঁছাতে এমন শক্তিশালী মাধ্যম আর হতে পারে না বলে মনে করে দলটির শীর্ষস্থানীয়রা। তাই সবাইকে ফেসবুকসহ যত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে সেগুলোতে নিজেদের ভিউয়ার বাড়াতে বলা হয়েছে।
সরকারের মন্ত্রীরা ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব। সম্প্রতি এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। অনেক কেন্দ্রীয় নেতা নিজের ফেসবুক পেজ পরিচালনার জন্য ব্যক্তিগত সহকারী রেখেছেন। তারা দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরছেন। যেমন, ওবায়দুল কাদের তার ফেসবুক পেজে প্রায় প্রতিদিনই সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডও জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন