বিপদজনক রুপ নিয়েছে মনু নদের পানি। এতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে মৌলভীবাজার শহর। পানি বেড়ে শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় সমান হয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় বাঁধ উপচে শহরে পানি ঢুকছে। মূল শহর ও তার আশেপাশের অন্তত ৩০টি স্থানে বাঁধ উপচে পানি বের হচ্ছে। এমতাবস্থায় শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বাঁধ ভাঙার। তাই মসজিদে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে গুজবে কান না দিতে পৌরবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে মেজর মুয়াইমিনের নেতৃত্বে সিলেট সেনানিবাস থেকে আসা সেনাবাহিনীর ২১ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের ৬০ সদস্য প্রতিরক্ষা বাঁধ রক্ষায় কাজ করছেন। ইতিমধ্যে প্রচুর বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। বাঁধের ওপরে বালুর বস্তা ফেলে উঁচু করা হয়েছে।
বন্যার পানিতে ডুবে বাবা-ছেলে ও প্রতিবন্ধির মৃত্যু হয়েছে। বন্যার পানিতে কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় শিশু সহ আরো ৫ জন নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার নয়াগাও ও শিংলাউড়ি গ্রাম থেকে বন্যার পানিতে ডুবে নিহত ৩ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন ইসলাম পুর ইউনিয়নের কাঠাল কান্দি গ্রামের বাসিন্দা সাত্তার মিয়া (৫৫) ও তার ছেলে করিম মিয়া (২৪) এবং শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংড়াউলি গ্রামের জামাল মিয়া (৪০)। জামাল মিয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে।জানা গেছে।
জানা যায়, শুক্রবার (১৫জুন) রাতে বাড়ির পাশ থেকে সাত্তার মিয়া ও তার ছেলে আব্দুল করিম ঢলের পানিতে নিখোঁজ হন। পরে আজ দুপুরে উপজেলার নয়াগাও এলাকার আনুশাহ এর মাজারের পাশ থেকে বাবা-ছেলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। একই ভাবে আজ সকালে ধলাই নদের ঢলের পানিতে নিখোঁজ হন প্রতিবন্ধী জামাল মিয়া। পরে দুপুরে উপজেলার শিংলাউড়ি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কমলগঞ্জ থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মনি রাণী দাস মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এর আগে কুলাউড়া ও রাজনগরে বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা যায়। যার ফলে এ পর্যন্ত বন্যায়
মৌলভীবাজারে নিহতের সংখ্যা পাঁচজন। এছাড়া কুলাউড়া ও কমলগঞ্জে শিশুসহ আরো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে বলে বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে তাদের নাম ঠিকানা এখনো জানা যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন