কক্সবাজারের টেকনাফে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানীয় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদরে মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন— টেকনাফের হ্নীলার মুফিজ আলম ও হেলাল উদ্দিন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি রণজিত কুমার বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে পাঠানো হয়। স্থানীয়দের দুটি গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
রোহিঙ্গা নেতারা জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হুদার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ লেদা রোহিঙ্গা শিবির নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তার নির্দেশের বাইরে লেদা শিবিরে কেউ কথা বলতে পারে না। অন্যদিকে, শরণার্থী শিবিরের আরেক অংশ নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় মুফিজ আলমের গ্রুপ। তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শিবির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সোমবার দিনের বেলা শিবিরের ভেতরে জুয়া খেলা নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়।এতে উভয় পক্ষ অস্ত্র ব্যবহার করে। সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গা শিবিরের লোকজন ভয়ের মধ্যে রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া, আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা আগে থেকেই বাংলাদেশে বসবাস করছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন