মানিকগঞ্জে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উর্মি আক্তার (১৮) নামে এক কনেকে অপহরণের চেষ্টাকালে দু’জনকে ধরে জনতা গণধোলাই দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার পাররৌহা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে অপহরণকারীদের রেখেই তাদের ৪/৫ সহযোগী পালিয়ে যান।
গণধোলাইয়ের শিকার দু’জন হলেন ওই উপজেলার রৌহা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে আখিনুর রহমান (২০) ও সাচ্চুর ছেলে রবিউল ইসলাম (২২)।
আর কনে উর্মি আক্তার পাররৌহা গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে। গতরাতে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।
কনের বাবা ফজলুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে জানান, প্রতিবেশী সাহাদত সরকারের ছেলে নাহিদ সরকার (১৯) তার মেয়েকে কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ কারণে তড়িঘড়ি করে ভাগ্নের সঙ্গে উর্মির বিয়ের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বরযাত্রীরা আসেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাহিদের নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ৭/৮ জন তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বিয়ের পিঁড়ি থেকে উর্মিকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে স্বজনদের মারপিট করে তারা।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ে বাড়ির মানুষের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দুই অপহরণকারী আখিনুর ও রবিউলকে ধোলাইয়ের পর রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। আর উত্তেজিত জনতার ধাওয়ায় অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ওই দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে খবর দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি সুনীল কুমার কর্মকার পরিবর্তন ডটকমকে জানান, এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন