সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কার চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি অাতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কার চেয়ে হাইকোর্টে গত ৩১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান মীর, কুমিল্লা সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক মো: দিদারুল আলম ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সাব-এডিটর রিট দায়ের করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সংস্হাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
রিটের শুনানি চলাকালে আদালত বলেন, ‘চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি সরকারের পলিসি। এটা আদালতের বিষয় নয়। তবে এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে কি না আমাদের জানান।’
এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতকে বলেন, ‘রিটে কোটা প্রথা কেন সংস্কার করা হবে না তার নির্দেশনা চেয়েছি।’ তখন আদালত বলেন, ‘এগুলো (কোটা পদ্ধতি প্রণয়ন) হয়েছে ১৯৯৭ ও ২০১১ সালে। এসব এখন বলছেন কেন?’
অাইনজীবী বলেন, ‘যখন কোটা নির্ধারণ হয়, তারপরও কয়েকবার তা সংস্কার হয়। বুদ্ধিজীবীরা সহ অনেকেই এই কোটার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন। নারী. মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতিসহ অনেক কোটা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, এসব সরকারের পলিসি। এগুলো কি সরকারের নজরে নেই?’
তখন এখলাছ উদ্দিন বলেন, ‘আমি শুধু রুল চাচ্ছি (কোটা সংস্কার চেয়ে)। কেননা, এ কোটার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরাও কোটা সুবিধা পাচ্ছে।’ তখন আদালত বলেন, ‘কোটার কারণে কোনো ভায়োলেশন (সংবিধান লঙ্ঘন) হয়েছে কি না।’
এখলাছ উদ্দিন তখন আদালতকে বলেন, কোটা ব্যবস্থার কারণে সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের ভায়োলেশন হয়েছে। একটি ছেলে এ কারণে আত্মহত্যাও করেছে। তাই এ বিষয়ে একটি রুল চাচ্ছি। রুল দিয়ে বিষয়টি সংস্কারের আদেশ দিন।’
এ সময় আদালত রিটকারীদের এই আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, যারা রিট করেছেন তারা কি কোটা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল? ঢাকা বিশ্বাবদ্যিালয়ের যে শিক্ষার্থী রিট করেছেন তিনি কি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাননি? আর অন্যরাও এই কোটার বিষয়ে সংক্ষুব্ধ কিনা?
জবাবে এখলাছ উদ্দিন বলেন, ‘রিটকারী শিক্ষার্থী এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্য দুজন রিটকারী সাংবাদিক। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী সামনে চাকরির পরীক্ষা দেবেন।’
আদালত তখন এ আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি বলতে চান, আমি আইনে পাশ করেছি এখন ডাক্তার হতে চাই? তিনি তো এখনো সংক্ষুব্ধ হননি।এটা ভবিষ্যতের বিষয়। এখনো তিনি পরীক্ষা দেননি। তার আগেই তিনি রিট করেছেন? কোটা আছে কি আছে না সেটা সরকারের পলিসি। আপনি সংক্ষুব্ধ কিনা, ক্ষতিগ্রস্ত কিনা, তা হওয়ার আগেই আদালতে এসেছেন? আপনি তো সাংঘাতিক লোক ‘
এরপর আদালত আদেশ দিয়ে রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
রিট খারিজের বিরুদ্ধে অাপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর অাইনজীবী এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া।
সারাবাংলা,মার্চ ৫, ২০১৮
পাঠক মন্তব্য
, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ সরকার,বাংলাদেশ বিষয়ঃ প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরির জন্য আবেদন। সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী উপর্যুক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আপনার সদয় বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করলাম। নুরুল অালম ভুইয়া,পিতাঃ মৃত বি এম বাকের অালী,গ্রামঃ ডুমুবিয়া চান্দঁপুর,পোঃ কুমিল্লা ৩৫০০,উপজেলাঃ অাদর্শ সদর,জেলাঃ কুমিল্লা। আমি একজন বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আমি খুব কষ্টের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন নিকট আমার দাবী , প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরী চাই। অামি এক জন শ্রবন ও বাক প্রতিবন্ধী। ২৫ জুন, ২০১২ইং তারিখে থেকে এইচ এস সি ভর্তি করা হচ্ছে হতে ২০,জুলাই ২০১৩ই তাং এইচ এস সি পাশ করছি ও কম্পিউটার ২ জুন,২০১০ হতে ৩০ জুলাই,২০১১ইং তারিখে অামি কম্পিউটার অনেকগুলো কোর্স সমাপ্ত ও বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা করছি এবং শিক্ষা শেষ সার্টিফিটেক পেয়েছি। ০৯সেক্টেম্বর,২০০৮ইং হতে ২৬সেক্টেম্বর,২০১১ইং তারখিে কেয়া নীচ কম্পোজিট লিঃ, গাজীপুর সুপারভাইজার পদের চাকুরী ছেড়েঁ করছি ও ২০১৪ইং হতে ৩০ জুন,২০১৫ইং তারিখে শেষ বি এন পি শপিং সাভির্স লিঃ,বাড়িধারা,ঢাকা এর নিবার্হী অফিসে পদে জন্য ২ (দুই) বার চাকরি ছেড়েঁ করছি। ২০১৫ সালে বাবা মারা যাওয়ার পরে পরিবারে মা,১ জন ভাই,৩ জন বোন। আমি সবার বড়। আমার সামান্য আয়ে ভাই বোনদের লেখা পড়া ও সংসার খরচ চালানো সম্ভব না। আমার পরিবার আওয়ামীলীগ করার অপরাধে সবই হারাইছে। আমি অনেক বার আবেদন করে ও চাকরি পাইনি,কিছু কিছু চাকুরীর জন্য টাকার অভাবে পাই না। এবার আমার চাকরীর জন্য শেষ আশা ও ভরসা স্থান সরকারী অাওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। আমার বয়স ২৮ বছর। ২০০১ সালে বি এন পির অত্যাচার, নির্যাতনের স্বীকার আমি, অামার বাবা স্থায়ী অওয়াগী লীগ চাদঁপুর জেলা নেতা দেশরে বাবা দেখে চিনে বুঝিছে মাননীয় মন্ত্রী, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম কাছে থেকে পরিবারের সাহায্য সুবিধা বুঝিতে পাইছেন অমার বাবা পুত্রকে ভালো চাকুরী ব্যবস্থা দেয়া করা হবে এখন এ পর্যন্ত ব্যবস্থা পাইনি। এবং ২০১৫ সালে বাবার ক্যান্সার রোগ হওয়ার কারনে কর্মে যোগ দিয়েছি পরে বাবা স্বপ্ন পুত্র খুব ভাল সরকারী চাকুরী চেষ্টা করছি হঠ্যৎ মারা গেছে অামরা দিশাদারা। অামি শ্রবন ও বাক প্রতিবন্ধী। এ পযর্ন্ত সরকারী চাকুরি জন্য ৩৩/৩২ টি অফিসে পরীক্ষা দিয়েছি জন্য কোথাও অামার চাকুরী হয় নাই। সব জায়গার স্বাভাবিক লোকের চাকুরিতে নিয়োগরে করা হয় তবে শ্রবন ও বাক প্রতিবন্ধী চাকুরিতে নিয়োগ করার কথা কেউ ভাবে না শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের সবাই অহবেলা করে। তাই যোগ্যতা থাকা সত্বেও তারা কোথাও চাকুরী পায় না। অাগে ৫/৬ বছরে সব মন্ত্রণালয় প্রধান মন্ত্রী,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রী ও এম পি সব কাছে এ বিষয় লিখিতভাবে যথারীতি সব মন্ত্রণালয় বার প্রেরন করেছিলনে। এখন অামি দিশাহারা অামি সরকারী চাইলে দীর্ঘদিন চিন্তা করছি তবে অনেক অনেক কষ্ট করছি। অামার বাবা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কােটা, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা পড়া দেখে প্রয়োজন, (নং ৪৬৭ প্রধানমন্ত্রী প্রতিস্বাক্ষতির মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ৩৮ ৩১০ বি এম বাকের অালী,মৃত অাঃ মজিদ ভুইয়া সনদ নং ২২৫৫৬ ২২ ফ্রেরুঃ ২০০০ ইং) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তক সামায়িক সনদ নং- মু,বি,ম/সা/চাদঁপুর/প্রঃ৩/২০/২০০২/২৩৮৯, ম~৮৭০৭৯৭,জুন ২০০৫ ইং, লাল মুক্তিবার্তা নং ০২০৫০২০০৫১ ও গেজেট নং ১৮৫৫ ২১,মে ২০০৫ইং, তালিকা নং ২৮। অামার বাবা মৃত ২০১৫ইং উত্তরাধিকারী থেকে মা কাছে ব্যাংকে ভাতা বই অাছে হইতে অামাকে যত্ব/টাকা দেয়া না করেছি জন্য সরকারী ও প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীসহ মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবহার চলে যাবেন না পারেন তবে কিছু টাকা দেয়া লাগতে পারে মন্ত্রীদের টাকা ঠিকভাবে মন্ত্রণালয় হইতে নিদের্শী ব্যবস্থা দ্রুত চলে যাতে পারে। পরীক্ষা ভালো চাুকরী দেয়া ছাড়া পরীক্ষা খারাপ কিছু টাকা সব সহজ চাুকরী দেয়া হবে, প্রতিবন্ধীকে সাহায্য করুন না করছি অামি অনেক অনেক কষ্ট করছি। দাম অর্থ, বাড়ি গাড়ি পরিবার দেখে নয় অামার যোগ্যতা দেখে অামাকে চাকরি টা দিন। অামার স্বপ্ন মাসে পর মাস বছরের পর বছর অামি এ চাকুরী টা ভাবে চালিয়ে যেতে পারব। অামরা খুব চিন্তা করছে, প্রতিবন্ধীকে সাহায্য করুন তাহলে অাল্লাহ্ অাপনাদের সাহায্য করুন/দোয়া করবে ও ইনশাঅাল্লাহ্। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সমাজ সেবা অধিদপ্তর নিকট হতে প্রতিবন্ধী সনদ পত্র সংগ্রহ করিয়াছি। আমি সরকারি অনেক চাকরিতে আবেদন করিয়াছি। কয়েকটি পরিক্ষা দিয়েছি। কিন্তু চাকরি হয় না। জানিনা কেন হয় না। তবে বাড়ি ফিরে আসলে লোকে বলে মামু খালু নাই চাকরি হবে কি করে। গত অাগে অাগে অামার বাবা মৃত গেছে। কিছু দিনে অাগে অাগে অামার পিতা মারা গেছে তবে সাংসারে অামি একা বাকি সব বোন,সেল্হতু অামার দাত্বিয় বেশি,যেমন কিছু জায়াগায় জমি মামলা অাছে তবে পরিবারে বাড়ি জায়গায় অাছে। মা,বোন সহ ও অাত্নীত অামাকে বাড়িতে কাজ করবে পারিছে, এখন অামি বোকা করছি। অামার বোন সহ ও মা অামাকে অাদর ও স্নেহ দিবেন না। ৩১ নভেম্বর,২০১৬ ইং হতে অামি বিবাহ অনুষ্ঠান করছি। অামার স্থী ও পুত্র জ্বর ব্যবস্থা দেয়া করতে না তবে অামি খুব অবাক দিতে পেয়েছি নিজ সব টাকা খরচ করছি জন্য টাকা খুব কঠিন ও অনেক অনেক কষ্ট। এখন অামি মদ ও খারাপ কাজ করতে চলে চলে করছি তবে অামাকে মেরে চলে পারিছি। অতএব,আমার পরিবারের সদস্যদের দিকে বিবেচনা করিয়া ও আমার বর্ননার সত্যতা জাচাই করে মুজিব আদর্শের ত্যাগী ও নির্যাতিত কর্মীকে একটি চাকুরি দিতে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করি। তারিখ ঃ ১৮ ফ্রেরুয়ারি ,২০১৮ইং নিবেদক, নুরুল অালম ভুইয়া, পিতাঃ মৃত বি এম বাকের অালী, গ্রামঃ ডুমুবিয়া চান্দঁপুর, পোঃ কুমিল্লা ৩৫০০,উপজেলাঃ অাদর্শ সদর, জেলাঃ কুমিল্লা। মা ০১৭১১৩৩১২৩০ ও ০১৭৪০০৩৭০৫৫ SMS করুন এখন।
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন