ভারতের আইন ব্যবস্থার নির্ণয় কি নব নির্মান সেনারাই নির্ধারিত করবে? বিশেষ করে কে কোথায় থাকবে আর কে থাকবে না, এই বিষয়টি কি তারাই ঠিক করে দেবে?
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক পোস্টার লাগানো হয়েছে। সেই পোস্টারে ওই রাজ্যে থাকা কাশ্মীরিদের তাড়ানোর দাবি তুলেছে সেনা দল।
এই ধরনের পোস্টার সেনা দলের দেয়ার ক্ষমতা আছে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। যদিও পুলিশের সাফাই, আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই কাশ্মীরিদের রাজ্য ছেড়ে যেতে হবে। নয়তো সমস্ত কাশ্মীরিরাই চরম সমস্যার সম্মুখীন হবে। এমনই হুমকি ব্যানার টানানো হয় উত্তরপ্রদেশের দিল্লি-দেরাদুন হাইওয়ের উপর। এই ধরনের ব্যানারগুলো সাঁটিয়েছে নব নির্মান সেনা দল।
দলের প্রধান অমিত জানি বলেন, পার্তাপুর হাইওয়ের পাশে একটি কলেজের পাশে এই ব্যানারটি সাঁটানো হয়েছে। কারণ ওই কলেজটিতে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই কাশ্মীরের। মূলত তাদের জন্যই এই হুমকি ব্যানারটি দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
এদিকে এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, খুব শিগগিরিই আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে পুলিশ প্রশাসনের হুমকিতেও কিন্তু দমে থাকেনি এই সেনা দল। তাদের কথাবার্তা এমন যেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে সমস্ত উপত্যকার বাসিদের সরিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছে।
আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে ‘হাল্লা বোল’ ক্যাম্পেনের সূচনা হতে যাচ্ছে রাজ্যে। তারা কেন এই রাজ্য ছেড়ে নিজেদের রাজ্যে যাচ্ছে না? তার প্রতিবাদেই এই ক্যাম্পেনটি করতে যাচ্ছে এই নব নির্মাণ সেনা দলটি।
তবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই এই পোস্টারগুলো অপসারণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তি এইভাবে নিজের হাতে কখনোই আইন তুলে নিতে পারেনা। এই বিষয়টি আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এক সময় এই ধরনের কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কে জড়ায় মহারাষ্ট্রের শিব সেনা। সেই সময় পেশার সূত্রে ভিন রাজ্য থেকে মুম্বাইতে যাওয়া ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হত। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটে সেই সময়।
এরপর ফের একবার নব নির্মান সেনা দলের পক্ষ থেকে এই একই ধরনের পোস্টার। স্বভাবতই এই ধরনের পোস্টার দেখে আতঙ্কিত কাশ্মীর থেকে এই রাজ্যে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা।
এই বিষয়ে নব নির্মানের সেনা দলের দাবি, মহারাষ্ট্রের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো মিল নেই। উপত্যকায় কাশ্মীরিরা পুলিশের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ে। তাই তাদের এই রাজ্যে থাকার কোনো অধিকার নেই। নিজেদের রাজ্যে চলে যেতে হবে।
সূত্র: কলকাতা২৪
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন