যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বিমানবন্দর জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কয়েক স্তরের তল্লাশি শেষে যাত্রীরা উঠছেন নির্ধারিত ফ্লাইটে। কিন্তু কোনো কাজেই এলো না কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। হাতব্যাগে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাইওয়ানগামী ফ্লাইটে উঠে বসলেন এক নারী যাত্রী।
৪২ বছর বয়সী নোয়েল গ্রান্ট নামের সেই নারী যাত্রী ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের সান্টা মোনিকা পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত নোয়েলের অস্ত্রটি ছিল ব্যক্তিগত। ঘটনার সময় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না তিনি। অস্ত্রটি মনের ভুলে ব্যাগেই রয়ে যায়। সেটি নিয়েই ফ্লাইটে উঠে বসেন এ নারী।
উড়োজাহজটি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে নামলে ব্যাগের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্রটি রয়ে গেছে বলে বুঝতে পারেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। মার্কিন মুলুক ছেড়ে অন্য একটি দেশে অবতরণ করেছেন তিনি। তখনই নিজের ভুলের বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানান নোয়েল।
তাইপে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বেশ খানিকটা সময় আটক রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে নির্দোষ হওয়ায় এবং হুমকি মনে না করায় ছেড়ে দেয়া হয় নোয়েলকে। তবে তার তাইওয়ান ত্যাগের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিষয়টি পুরোপুরি নিষ্পত্তি হলে তবেই দেশে ফিরতে পারবেন তিনি।
ঘটনাটি স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মকর্তারা। পরিবহন নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নিকো মেলেনডেজ জানান, এ ঘটনার ক্ষেত্রে লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত গাফিলতির বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। জড়িতদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
সূত্র: বিবিসি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন