রুশ কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার জন্য ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মাইকেল ফ্লিনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলে। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের সূত্র থেকে সিএনএন এ তথ্য জানায়। রাশিয়ার কর্মকর্তাদের কথোপকথনের একটি রেকর্ড মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের হাতে আসে। কথোপকথন থেকে বোঝা যায় রুশরা তাকে মিত্র মনে করত। সাবেক সরকারী এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের জন্য এই কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কী পরিমাণের তথ্য রুশদের কাছে পাচার হয়েছে তা এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও জানা যাবে।
সিএনএন জানায়, ফ্লিনের সঙ্গে রাশিয়ার এই সম্পর্ক ২০১৬ সালে আরো উন্নত হয়। এরপর ডিসেম্বর মাসে ওয়াশিংটনে রুশ কূটনৈতিক সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি ধরা পড়েন। এর ফলে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করা হয়। তবে এই কথোপকথন নিয়ে ফ্লিনের উপদেষ্টা কোনও মন্তব্য করেননি।
ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুনে রাশিয়ায় এক আনুষ্ঠানিক সফরে কিসলিয়াকের সঙ্গে প্রথম ফ্লিনের পরিচয় হয়। সে সময় ফ্লিন মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। কিসলিয়াক ছিলেন রুশ সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের নেতৃত্বে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ফ্লিন ক্রেমলিনের পরিচালিত আরটি টিভির গালা রাউন্ডে অংশগ্রহণ করেন। তাকে ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক টেবিলেই বসেন।
ফ্লিন ও কিসলিয়াকের কথোপকথন হয় ওবামার রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির মাত্র কয়েকদিন পরে। ফ্লিন কিসলিয়াককে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে কাজ করবে। এরপর পুতিন জানায়, রাশিয়া কোনও প্রতিহিংসামূলক কিছ করবে না।
সদ্য বরখাস্ত জেমস কমিও সিএনএনকে জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে ট্রাম্প রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের বিষয়ে তাকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিলো। তার তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিলো ট্রাম্প।
ট্রাম্প সম্পর্কে এ প্রমাণ পাওয়ার পর হোয়াইট হাউসের আইনজীবীরা এখন তার অভিশংসনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন