ভারত ও সিঙ্গাপুর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন সাগরে যৌথ নৌমহড়া শুরু করেছে। এতে ভারতের চারটি রণতরী, একটি টহলযান এবং সাবমেরিনবিধ্বংসী বিমান অংশ নিচ্ছে।
ভারতের শিবালিক, সাহায্যদি, জ্যোতি ও কামোরতা রণতরী এবং পি৮-১ সমুদ্র টহল জাহাজ, সাবমেরিন বিধ্বংসী জঙ্গিবিমান যোগ দিয়েছে। সিঙ্গাপুর নৌবাহিনীর সুপ্রিম, ফরমিডেবল, ভিক্টরি এবং সমুদ্র টহল বিমান ফকার এফ৫০, বিমানবাহিনীর এফ-১৬ জঙ্গিবিমান অংশ নিচ্ছে।
শিবালিক, সাহায্যদি বহুমুখী ব্যবহারোপযোগী ফ্রিগেট। এ দু’টিতে ক্লাব জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্রহ্ম ক্ষেপণাস্ত্রের স্থল হামলার সংস্করণ মোতায়েন রয়েছে। আইএনএস কামোরতা হলো সাবমেরিনবিধ্বংসী রণতরী। অন্যদিকে জ্যোতি হলো ভারতীয় নৌবাহিনীর জ্বালানি ট্যাঙ্কার।
ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছরের সিমবেক্স-১৭ হবে দক্ষিণ চীন সাগরে। এটা এ ধরনের ২৪তম মহড়া। সিঙ্গাপুর ও ভারতীয় নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং অভিন্ন ধারণা সৃষ্টি এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযান প্রক্রিয়ার জন্য এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের মহড়ায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে সাবমেরিনবিধ্বংসী যুদ্ধকৌশল; স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে সমন্বিত হামলার ওপর।
চলতি মহড়া শেষ হবে ২৪ মে।
এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা তার সিঙ্গাপুরে ৫ দিনের সফর সম্পন্ন করেছেন। সফরকালে তিনি সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান এবং নৌবাহিনীর প্রধানসহ সিঙ্গাপুরের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। ভারতীয় নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফরের লক্ষ্য ছিল বিদ্যমান সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উদ্ভাবন করা।
সিঙ্গাপুর নৌবাহিনী ১৯৯৪ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরুর মধ্য দিয়ে দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন