কাতারের সংকট গুরুতর আকার ধারণ করলে সেখান থেকে হাজার হাজার শ্রীলংকান নাগরিক সরিয়ে আনতে শ্রীলংকা সরকার জরুরি পরিল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার আওতায় শ্রীলংকার শ্রমিকদের জরুরি ভ্রমণ পাস সরবরাহের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
কাতারে নিযুক্ত শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত এএসপি লিয়ানাগে জানান যে যদিও উপসাগরীয় অঞ্চলের কূটনৈতিক বিরোধ সংঘাতে রূপ নেয়ার আশংকা খুবই কম তারপরও শ্রীলংকার নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
কাতারে শ্রীলংকার দেড় লাখের মতো শ্রমিক কাজ করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর কাতার দূতাবাস কাতার থেকে শ্রীলংকার নাগরিকদের সরিয়ে আনতে জরুরি ভ্রমণ পাস সরবরাহের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বেশিরভাগ বিদেশি শ্রমিকের পাসপোর্ট তাদের নিয়োগকর্তারা রেখে দেন। তাই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা তৈরি হলে দ্রুত চলে যাওয়ার জন্য ওইসব শ্রমিকরা তাদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় পাবে কিনা তা আমরা জানি না। যেহেতু সেখানে আমাদের প্রচুর সংখ্যক নাগরিক রয়েছে তাই আমরা জরুরি ভ্রমণ পাস সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন প্রয়োজন দেখা দেয়া মাত্র তা সরবরাহ করা সম্ভব হয়।
তাছাড়া, সংকট গুরুতর আকার ধারণ করলে কাতার থেকে যেন দ্রুত নাগরিকদের সরিয়ে আনা যায় সেজন্য সরকার চার্টার ফ্লাইটেরও ব্যবস্থা করছে বলে লিয়ানাগে জানান।
গত বুধবার রাষ্ট্রদূত শ্রীলংকার ২২টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংকট নিয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এদিকে তুরস্ক ও ইরান থেকে কাতারে জরুরি পণ্য পাঠানো হয়েছে। সৌদি আরবসহ ৭টি আরব রাষ্ট্র কাতারের বিরুদ্ধে স্থল, নৌ ও বিমান অবরোধ আরোপের পর এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
কাতার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে অর্থ সরবরাহ করছে এই অভিযোগে ওইসব দেশ দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে কাতার এই অভিযোগ দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন