ডোকা লাম নিয়ে উত্তপ্ত ভারত–চীন সীমান্ত। গত আড়াই মাস ধরে সেখানে মুখোমুখি অবস্থান করছে দু’দেশের বাহিনী। কোনো দেশই নিজ অবস্থান থেকে যাওয়ার কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না। যুদ্ধ কেবল রণাঙ্গণেই নয়, সামাজিক মিডিয়াতেও চলছে।
ভারতীয়দের বিদ্রূপ করে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে চীনের ‘সিনহুয়া’ সংবাদ সংস্থা। তাতে বর্ণিবিদ্বেষের ছাপ স্পষ্ট। মাথায় পাগড়ি ও নকল গোঁফদাড়ি লাগিয়ে ভিডিওটিতে অভিনয় করেছেন এক নারী। ভারতীয় বাচনভঙ্গিতে দিল্লির ৭টি ‘অপরাধ’ তুলে ধরেছেন তিনি। যার মধ্যে ডোকা লায় ‘অনধিকার প্রবেশ’ তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে ভারতকে ‘বদ প্রতিবেশী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চীনা ভূখণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী পাঠিয়েছে ভারত।’ ভূটান ডোকা লা–কে চীনা ভূখণ্ড হিসেবে মেনে নিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে তাতে।
ডোকা লা নিয়ে বিরোধের শুরু থেকেই ভারতকে সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
মার্কিন চোখরাঙানিতে তারা ভয় পায় না বলেও ঘোষণা করেছে। ভিডিওটিতেও সেই শ্লেষ ধরা পড়েছে। বলা হয়েছে, ‘ডোকা লা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আপসের প্রশ্নই ওঠে না। সিঁধ কেটে ঘরে ডাকাত ঢুকলে তার সঙ্গে কি সন্ধি করা যায়? যায় না। বরং ৯১১ ডায়াল করে পুলিশে খবর দিতে হয়।’ ৯১১ আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপদকালীন নম্বর। দিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের দহরম মহরমকে কটাক্ষ করতেই এমন আচরণ।
ডোকা লামে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে নতুন করে বিরোধের সূত্রপাত। গত আড়াই মাস ধরে সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থান করছে দু’দেশের বাহিনী। এর আগে দু’দেশের মধ্যে এত লম্বা বিরোধ দেখা যায়নি। এরমধ্যে আবার পশ্চিম হিমালয়ের লাদাখে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে, চীনা বাহিনীর ১৫ জন জওয়ান প্যাংগং হ্রদেরর তট ধরে ভারতের এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। তাদের সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সঙ্ঘর্ষ চলে ভারতীয় বাহিনীর। তবে গোলাগুলি চলেনি। তবে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন