লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পেছনে কাতার ও ফ্রান্সের ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ করেছে দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিটি। তারা বলেছে, গাদ্দাফি ও তার ছেলেকে হত্যার পেছনে কাতার ও ফ্রান্সের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিরব থেকে নিজেরাই যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে মানবাধিকার কমিটি দাবি করেছে। সন্ত্রাসবাদ বিস্তারে কাতারের ভূমিকা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দোহা গাদ্দাফিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িয়েছিল বলে দাবি করেছে লিবিয়ার মানবাধিকার কমিটি।
এর আগে সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব দেশ সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেওয়ার জন্য কাতারকে অভিযুক্ত করেছে। তবে কাতার এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
লিবিয়ার মানবাধিকার কমিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির সরাসরি নির্দেশে দেশটির গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গাদ্দাফি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গাদ্দাফির কাছ থেকে সার্কোজির অর্থ সাহায্য নেওয়ার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে ওই কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
jamunanews24
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন