পাকিস্তানে হিন্দু এক শিক্ষিকাকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দেশটির সিন্ধ প্রদেশের খাইরপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষিকার নাম আরতি কুমারী। তিনি কাশিম মডেল স্কুলে শিক্ষকতা করেন আরতি।
সম্প্রতি পাকিস্তানে কর্মরত এপি-র সাংবাদিক নাইলা ইনায়ত একটি টুইট করেন। সেই টুইটেই গোটা ঘটনাটির উল্লেখ করেছেন নাইলা।
টুইটে ওই সাংবাদিক জানান, ১৯ বছরের আরতিকে অপহরণ কর হয়। এরপর, মাথায় বন্দুক ধরে স্থানীয় এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়েও দেওয়া হয়। জোর করে ধর্মান্তরিত করে আরতির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে মাহইউশ।
নাইলার দাবি, ধর্মীয় নেতা আমির ওয়াসানের তদারকিতেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে।
পরে স্থানীয় সংবাদপত্রের একটি রিপোর্টে লেখা হয়েছে, শুধু জোর করে বিয়ে দেওয়াই নয়, আরতিকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতেও বাধ্য করেছেন আমির।
ওই চুক্তিপত্র লেখা রয়েছে, আরতি স্বেচ্ছায় ওই মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী নভেম্বরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আরতির। এর আগেও তাদের পরিবারের আরও এক তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছিল।
আনন্দবাজার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন