ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির সরকার। রাজ্যে থাকা রোহিঙ্গা শিশু ও নাবালকদের পাশে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন।
এই মুহূর্তে অন্তত ৪৪ জন রোহিঙ্গা শিশু ও নাবালক রাজ্যের বিভিন্ন ‘হোম’ বা সংশোধনাগারে রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ভারত থেকে বার করে দিতে চায় কেন্দ্র। সেই নির্দেশিকা মানতে রাজি নয় কমিশন।
এক্ষেত্রে কমিশনের যুক্তি, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে ধরনের ‘অত্যাচার’ চলছে, তাতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মানার অর্থ, রোহিঙ্গা শিশু এবং তাদের মায়েদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া। তাই কেন্দ্রের নির্দেশিকা ‘অমানবিক’, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল কমিশন। তৃণমূল এমপি তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বোচ্চ আদালতে কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পক্ষে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন সমাজকর্মী তথা আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তার পরে শীর্ষ আদালতকে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র যা জানিয়েছে তার সারমর্ম, রোহিঙ্গারা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে ‘বিপজ্জনক’। সেই প্রেক্ষাপটে কমিশনের দায়ের করা মামলায় মানবিকতার বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে।
কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, উগ্রবাদযোগের প্রমাণ থাকলে সরকারের উচিত আপস না করা। তবে নির্দোষ রোহিঙ্গাদের বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া অমানবিক। প্রশাসনের অনেকেই মনে করছেন, কমিশনের মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর সেই মনোভাবেরই প্রতিফলন থাকবে। তবে রোহিঙ্গা-প্রশ্নে রাজ্য সরকারের অবস্থান যে তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ কর্মকর্তাদের অনেকেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন