জাতিবৈচিত্র্যের এক অনন্য উদাহরণ কানাডা। কিন্তু তাই বলে দেশটিতে যে জাতিবিদ্বেষ থেমে আছে, তা কিন্তু নয়। এবার এক মুসলিমবিদ্বেষী এক নারীর রোষের মুখে পড়তে হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিখ কানাডিয়ানকে।
নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা এনডিপির বেশ জনপ্রিয় একজন নেতা জগমিত সিং। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই শিখ কানাডিয়ান এখন এনডিপির শীর্ষ পদে যাওয়ার জন্য লড়াই করছেন। সেই প্রচারণার অংশ হিসেবে অন্টারিও-র এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন জগমিত।
কিন্তু শুরুতেই বাধে বিপত্তি। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে শব্দ পরীক্ষা করে বক্তব্য শুরুর আগেই তাকে পড়তে হয় জেনিফার নামের এক নারীর রোষে। নিজেকে একজন শিশু ও নারী অধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন জেনিফার।
মুখে দাঁড়ি এবং মাথায় পাগড়ি দেখে জগজিতকে মুসলিম ভেবে ভুল করেন তিনি। বারবার প্রশ্ন করছিলেন, ‘‘তোমাদের এই শরিয়া আইনের শেষ কোথায়?'' জেনিফার প্রশ্ন তুলছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুড নিয়েও।
জগমিতের সহকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে পুলিশ ডাকার হুমকি দেন জেনিফার। তবে জগমিত সিং জেনিফারের ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করেননি। বরং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঘৃণা দ্বারা প্ররোচিত হব না।
এসময় পুরো হলজুড়ে একযোগে জগমিতের নির্বাচনি স্লোগান ‘ভালোবাসা এবং সাহস' বলতে থাকেন সবাই। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বের হয়ে যান জেনিফার।
ঘটনার ভিডিও ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে উল্কার গতিতে। বিভিন্ন সংস্কৃতি বিষয়ে ‘না জেনে' মন্তব্য করার জন্য অনেকেই সমালোচনা করেন জেনিফারের। কেউ কেউ অবশ্য ‘আমি মুসলিম না' বললেই পারতেন জগমিত, এমনটাও মনে করছেন।
তবে সব কথার উত্তর দিতে একটি টুইট করেছেন জগজিত নিজেই। বলছেন, আমি মুসলিম না বলার মানেই হচ্ছে, মুসলিমদের ঘৃণা করার মানসিকতাকে বৈধতা দেয়া। সব ধরনের ঘৃণার বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন