জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এঙ্গেলা মেরকেল। এবারের নির্বাচনে রাশিয়ান হ্যাকারদের হামলার কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।কিন্তু কী কারণে এবার রুশ হ্যাকাররা জার্মান নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারল না?ম্যাশেবল ডটকম নামে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাবশালী একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রযুক্তিবিদ কলিন দাইলেদা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
সেখানে উঠে আসে বিভিন্ন দেশে রুশ হ্যাকারদের হামলার প্রচেষ্টার কথা এবং সর্বশেষ এই নির্বাচনে কোনো ধরণের দাগ বসাতে না পারার ব্যর্থতার কথা।গত দুই বছর আগে রাশিয়ার সাথে সম্পর্কিত একটি হ্যাকার চক্র জার্মানীতে মারাত্মক হামলা চালায়। ধারণা করা হচ্ছিল পরবর্তী জার্মান নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিল সেই হ্যাকার চক্রটি।
কিন্তু বর্তমান লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে যেমনটা সফল হয়েছিল জার্মানিতে তেমনটা হয়নি তারা।২০১৫ এর মাঝামাঝিতে জার্মান কর্তৃপক্ষ দেখতে পায় কোনো একটি সন্দেহভাজন চক্র বুন্ডেসতাগের ইন্টারনাল সার্ভারে হামলা চালাচ্ছে। বুন্ডেসতাগ হচ্ছে জার্মান পার্লামেন্টের দুই ভবনের একটি। যারা এই হামলা চালিয়েছে তারা শীর্ষ রাজনৈতিক দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) সদস্যদের ইমেইল চুরি করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
এছাড়া চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেলের দপ্তর থেকেও তথ্যাদি চুরির চেষ্টা করা হয়। তখন জার্মান কর্তাব্যক্তিরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী ঘটছিল। কিন্তু পরবর্তী বছর মার্কিন নির্বাচনে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলের সার্ভার হ্যাক করে সেখান থাকে লাখ লাখ মেইল, বিভিন্ন গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে যায় রুশ হ্যাকার চক্র। এজন্য জয়ের মঞ্চ প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত থাকার পরও হ্যাকিংয়ের পর ক্ষমতার চাকা ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের কাছ থেকে সরে যায়।কিন্তু জার্মান সরকারের বিশেষ সতর্কতার কারণে এবার জার্মান নির্বাচনের রুশ হ্যাকাররা তেমন ক্ষতি করতে পারেনি।
এছাড়া দুই বছর আগে জার্মান সাংসদদের যেসব মেইল হ্যাক করা হয়েছিল সেখানে খুবই ‘বোরিং’ জিনিসপত্র পেয়েছে হ্যাকাররা, যেগুলো পাবলিক করার উপযুক্ত বলে মনে করেনি। মাত্র কয়েক মাস আগে হওয়া ফ্রান্সের নির্বাচনেও রুশ হ্যাকাররা প্রভাব ফেলতে পারেনি। ইউরোপের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো রুশ হ্যাকারদের হামলা থেকে বাঁচতে শক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
২০১৬ এর মার্কিন নির্বাচন বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাজনীতিবিদদের ভাবিয়ে তুলেছে। ইউরোপের শক্তিঘর হিসেবে পরিচিত জার্মানি তাই সর্বোচ্চ সতকর্তা নিয়েছে। মেরকেলকে পছন্দ না করলেও চতুর্থবারের মতো তাকে চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে হবে পুতিনদের!
poriborton
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন