উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে ভাইকিংদের প্রতাপের ইতিহাস অনেকেরই জানা। বর্তমানে নর্ডিক অঞ্চল বলে পরিচিত সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড আর নরওয়েতে ৮ম থেকে ১১শ শতাব্দীর দিকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে ভাইকিংরা। অবশ্য সুনামের চেয়ে দুর্নামের কারণেই ইতিহাসে বেশি আলোচিত হয়ে থাকে তারা। সমুদ্রচারী ব্যবসায়ী, যোদ্ধা ও জলদস্যু হিসেবে খ্যাতি-কুখ্যাতি ছিল ভাইকিংদের। ইউরোপের এক বিরাট এলাকা জুড়ে বসতি গেড়েছিল ওই সময়।
সেই ভাইকিংদের নিয়ে নতুন তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা। সুইডেনের সবেচেয়ে পুরোনো উপাসালা ইউনিভার্সিটির গবেষক আনিকা লার্সন সম্প্রতি ভাইকিং জনগোষ্ঠির একটি কবরস্থান থেকে এমন কিছু দাফন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন যেগুলোতে ‘আল্লাহ’ ‘আলী’ ইত্যাদি শব্দ লেখা বা অংকন করা।
আনিকা আনাদলু এজেন্সিকে বলেছেন, ‘ভাইকিংরা কোনো এক পর্যায়ে হয়তোবা ইসলাম এবং এর পরকালের ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।’
সুইডেনের ঐতিহাসিক ভাইকিং নগরীর বিকরা এলাকা থেকে নৌকা আকৃতির কবর থেকে উদ্ধার করা দাফনের কাপড়ে শব্দগুলো লেখা হয়েছে আরবী কুফিক বর্ণমালায়।
অবশ্য ভাইকিংদের কবরে ‘আল্লাহ’ শব্দ লেখা পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৫ সালে স্টকহোম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সেবাস্তিয়ান ওয়ার্লমেন্ডারের নেতৃত্ব একদল গবেষক অনুসন্ধান চালিয়ে একটি কবর থেকে ‘আল্লাহ’ লেখা আংটি উদ্ধার করেছিলেন। আংটিটি বর্তমানে সুইডিশ হিস্টোরি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
https://www.dailysabah.com/history/2017/10/07/allah-ali-writing-discovered-in-swedens-viking-graves
পবিত্র কাবা শরীফের নামে টুইটার একাউন্ট
ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরীফের নামে একটি টুইটার একাউন্ট খোলা হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেটি হতে টুইট করা হচ্ছে। এর নিজস্ব ‘ইমোজি’ও তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই টুইটার একাউন্টটি ফলো করছে হাজার হাজার মানুষ।
মক্কার মসজিদের কেন্দ্রস্থলে কাবা-মুখী হয়েই সারা বিশ্বের মুসলিমরা নামাজ আদায় করেন। খবর বিবিসির।
বৃহস্থপতিবার হতে @হোলিকাবা টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করা শুরু হয়। সেদিন মক্কায় হজ্জ্ব পালনের জন্য জড়ো হয়েছিলেন প্রায় বিশ লাখ মুসলিম।
হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে সব হাজিকে সাতবার এই কাবা প্রদক্ষিণ করতে হয়।
এই টুইটার একাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার লাইভ পেরিস্কোপ ভিডিওতে কাবা শরীফের ‘কিসওয়া’, অর্থাৎ যে কালো এবং সোনালি পর্দায় কাবা শরীফ ঢাকা থাকে, সেটি বদলানোর দৃশ্য দেখানো হয়।
হাজার হাজার মানুষ এই ভিডিও দেখেন এবং এটি রি-টুইট করেন। কাবা শরীফের নামে টুইটার একাউন্টটি খোলা হয় গত মার্চে। কিন্তু এটি আসলে সচল হয় গত বৃহস্পতিবার।
এই একাউন্ট থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৮টি টুইট করা হয়। তখন পর্যন্ত এই একাউন্টের ফলোয়ার ছিল ২৭ হাজারের কিছু বেশি।
হজের সময় কাবা শরীফে গিয়ে যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন, তাদের এর আগে ভৎর্সনার মুখোমুখি হতে হতো। কিন্তু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাবার পদার্পনকে ইসলামের কঠোর অনুশাসন মেনে চলা লোকজন কিভাবে দেখছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যদিও কাবার এই একউন্টটি টুইটারের যাচাই করা টিক চিহ্ন আছে, তারপরও পরিস্কার নয় এর পেছনে কারা।
বিবিসি আরবী সার্ভিসের সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ফয়সাল ইরশাইদ জানিয়েছেন, সৌদি সরকারের সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কোন একাউন্টের সঙ্গে এই টুইটার একাউন্টের কোন সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন