রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বাঙালি দাবি করে তারা মিয়ানমারের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে বৃহ্স্পতিবার একটি পোস্টে তিনি ওই দাবি করে করেন বলে রয়র্টাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
এর আগে সকালে মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সিয়েলের এক বৈঠক করেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। এরপর সেই আলোচনা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাঙালি দাবি করে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং বলেন, তারা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী নয়। তারা মিয়ানমারের জন্য ক্ষতিকর। আর সাবেক ব্রিটিশ ঔপনিবেশিই এ সমস্যার জন্য দায়ী।
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা গণমাধ্যম অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, নথিপত্র প্রমাণ করে,তারা কখনও রোহিঙ্গা নামেও পরিচিত ছিল না। ঔপনিবেশিক আমল থেকেই তারা বাঙালি ছিল। মিয়ানমার তাদের এ দেশে নিয়ে আসেনি। ঔপনিবেশিক আমলেই তারা এসেছিল।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বরও রোহিঙ্গা মুসলমানদে বাঙালি বলে দাবি করেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং।
ওইদিনি তিনি বলেছিলেন, রোহিঙ্গারা স্বীকৃতি দাবি করছে অথচ তারা কখনো মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠী ছিল না। এটি ‘বাঙালি’ ইস্যু। আর এই সত্য প্রতিষ্ঠায় একতাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে পালিয়ে আসা ৬৫ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উৎখাতে ঘরবাড়ি, শস্য ও গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়, চলে দমন-পীড়ন।
এই পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিনিই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ আসছে রোহিঙ্গারা।
পাঠক মন্তব্য
রোহিঙ্গারা যদি বাঙ্গালী হয়, তাহলে আরাকান কার?
Bordering Provinces of Tibet speak lame language . what do that make them , Tibetan or Nepalis ?
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন