অবমাননার দায়ে ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে চায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মুখপাত্র হুরুন শিনওয়ারি জানিয়েছেন, সে দেশের শীর্ষ বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কমিশনের বিচারকদের প্যানেল।
২৬ অক্টোবর শুনানির দিন পুলিশ যাতে ইমরানকে হাজির করায় সেই আর্জিও জানিয়েছেন বিচারকরা। শিনওয়ারির দাবি, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। গত মাসেও একই রকম একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। তবে তা খারিজ করে দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এ বারও ফের হাইকোর্টে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমরানের আইনজীবী বাবর আয়ান।
চলতি বছরের শুরুর দিক কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন ইমরান খান। তার অভিযোগ ছিল, সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে নির্বাচন কমিশন। এই মন্তব্যের জন্যই তার বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের প্রয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আর নির্ভরশীল নয় পাকিস্তান। বরং (সামরিক সরঞ্জাম লাভের) কোনো একটি উৎস বন্ধ হয়ে গেলে অন্যদের কাছ থেকে তা সংগ্রহ করা হবে। রোববার আরব নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি এ কথা বলেছেন।
আব্বাসি বলেন, ‘যদি একটি উৎস বন্ধ হয়ে যায় তখন আমাদের জন্য বিকল্প খুঁজে বের করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকে না। এতে খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে, অনেক সম্পদ ব্যয় হতে পারে, তবে আমাদের সেই যুদ্ধে অবশ্যই লড়তে হবে এবং এ কারণে আমরা ইতোমধ্যে যাদের সাথেই সাক্ষাৎ করেছি, তাদের কাছে এ বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সামরিকবাহিনীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিপুল অস্ত্রশস্ত্র আছে তবে আমরা আমাদের অস্ত্রভাণ্ডারকে বহুমুখী বৈচিত্র্যময় করেছি। আমাদের কাছে চীনা ও ইউরোপীয় পদ্ধতিও (সিস্টেম) আছে। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো আমরা রাশিয়ান অ্যাটাক হেলিকাপ্টারকে আমাদের অস্ত্রব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করেছি।’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যুদ্ধের ব্যাপারে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে আব্বাসি বলেন, বিশ্বের উচিত তার দেশের প্রচেষ্টা ও অবদানের স্বীকৃতি প্রদান। তিনি বলেন, কোনো নিষেধাজ্ঞা বা সীমাবদ্ধতা আরোপ কেবল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে দুর্বল করে দেবে, যার প্রভাব গোটা অঞ্চলের ওপর পড়বে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে এক ‘অনির্ধারিত’ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন খাকান আব্বাসি। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসনের অনুরোধে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে খুবই ‘গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে।
২১ আগস্ট ট্রাম্প নতুন নীতি গ্রহণের পর ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের সাথে আব্বাসির বৈঠক ছিল দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। ওই নীতি ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নির্ধারিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বাতিল করে দেয় পাকিস্তান। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকের পর আব্বাসি বলেন, ‘তারা যেসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে আমরা তা নিরসন করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।’
পাকিস্তানে সন্ত্রাসীরা নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সুস্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আমরা কাউকে নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছি না। এখন আমাদের উভয়ের অভিন্ন লক্ষ্য হচ্ছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করে দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনা।
কাশ্মির সঙ্কট আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হতে পারে সাবেক র প্রধান
ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস বা র-এর সাবেক প্রধান অমরজিৎ সিং দৌলত বলেছেন, কাশ্মির সঙ্কট একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে পারে। লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স বা এলএসই’র দক্ষিণ এশিয়া ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা না করার যে কৌশল ভারত নিয়েছে তার কোনো অর্থ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। গত পনের মাসে কাশ্মিরের পরিস্থিতি ভারত মারাত্মকভাবে খারাপ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বল প্রয়োগ করে কাশ্মিরে কখনোই কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। আসলে এভাবে কোথাও কখনোই সুফল পাওয়া যায়নি এবং বর্তমানে স্পেনে তা দেখতে পাচ্ছি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ দিকে, একই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান এসাহনুল হক। তিনি বলেন, গত জুলাই থেকে কাশ্মির পরিস্থিতি অবনতির দিকে মোড় নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বিচারের ছররা গুলি ব্যবহার করে এবং দমন-পীড়ন চালিয়ে কাশ্মিরে বিক্ষোভ সামাল দিয়েছে ভারত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন