মিয়ানমারের সেনারা বাড়িতে হামলা আর আগুন দেয়ার পর ভয়াবহ ঘটনা যায় অনেক রোহিঙ্গা পরিবারে ।একই পরিবারের ২২ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন পালিয়ে বেঁচে আছে। আগুনে পোড়া ঘরের বাঁশের বেড়ার ভেতর দিয়ে কোনো রকমে দৌড়ে পালিয়ে আসে এক কিশোরী। বাড়িতে না থাকায় বেঁচে যায় অন্যজন।
দু’পায়েই আগুনে ঝলসানো চামড়া । একপায়ের ক্ষত এখনো শুকাইনি। মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতনে মাথার ক্ষতস্থান এরইমধ্যে শুকিয়েছে। ছেটে দেয়া চুলও বড় হতে শুরু হয়েছে। হাত আর শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত আর আশুন পোড়ার ক্ষতচিহ্ন কাপড়ে চাপা পড়লেও চোখের সামনে পরিবারের সবাইকে হারানোর দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারছেনা এক রোহিঙ্গা কিশোরী ।
এই রোহিঙ্গা কিশোরী জানায়, চার ভাইসহ অন্য পুরুষদের হত্যা করা হয় নদীর চরে নিয়ে। আর চার বোনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আবার বাড়িতে ফিরিয়ে এনে ঘরের ভেতরে আটকে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
ঘরে আগুন দেবার আগে সেনাদের শারিরীক নির্যাতনে গভীর ক্ষত সুষ্টি হয় তার মাথাসহ শরীরের অনেক স্থানে। এ অবস্থার মধ্যে গায়ে লেগে যাওয়া আগুন নিয়ে দৌড়ে বাইরে এসে জ্ঞান হারানোর পর কি হয়েছে, সেটা আর মনে নেই।
প্রাণে বাঁচলেও নানান ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে সে। ছয়-সাতদিন ধরে বিভিন্ন পাহাড় বেয়ে শেষ পর্যন্ত স্থানীয়রা ঘাড়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে তাকে। ক্যাম্পে এসে চিকিৎসার পর থেকে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হলেও পরিবারের ওপর নির্যাতনের ঘা হয়ত শুকাবে না কোনোদিনই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন