মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার দেড় মাসের মতো পেরিয়ে গেলেও এখনো রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা থামছে না। মাঝে কয়েকদিন ধীরগতির পর আবার নতুন করে বাংলাদেশে অভিমুখে ঢল নেমেছে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের।
সোমবার ভোর থেকে কক্সবাজারের উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ভোর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে আরও পাঁচ হাজারের মতো রোহিঙ্গা। তারাও সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন।
বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে অনেকে বাংলাদেশ সীমান্তে এসেছেন। এছাড়া অনেকে নৌকায় ও কনটেইনারে ভেসে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেছেন।
তারা আরও জানান, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মিয়ানমার সীমান্তে পরিবার নিয়ে ৫০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অপেক্ষায় আছেন। তারাও সীমান্ত পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় আছেন।
কয়েকটি পুলিশি চেকপোস্টে হামলার জের ধরে গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে তারা রোহিঙ্গা নিধন শুরু হরে। নির্যাতন থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফের অন্তত ১০টি শিবিরে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
বিপদাপন্ন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার স্বাক্ষর রেখেছে তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। তবে জনবহুল ও স্বল্প সম্পদের এই দেশের পক্ষে এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর উপস্থিতি বোঝাস্বরূপ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, সামাজিক, পরিবেশগত, নিরাপত্তাসহ নানাভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন