সোনার অলঙ্কার পরতে কে না পছন্দ করেন। খনি থেকে সোনা তুলে, বানানো হয় ডিজাইন।
কিন্তু ভূপৃষ্ঠের তলায় কিভাবে এল এই সোনা? বহু বছর ধরে এই বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। অবশেষে সমাধান হল সেই রহস্যের। দুটি নিউট্রন নক্ষত্রের সংঘর্ষের ফলেই উৎপত্তি হয়েছিল সোনা।
জানা গেছে, নিউট্রন নক্ষত্রের সংঘর্ষ হয়। আর তার থেকে উৎপন্ন হওয়া ধাতু সোজা এসে পড়ে পৃথিবীতে। এরপর সেটি অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে মিশে যায়। এর আগেও বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, সোনা, রুপা বা প্ল্যাটিনামের মত ধাতু উৎপন্ন করতে প্রচুর এনার্জি প্রয়োজন। তবে এবার হাতেনাতে সেই প্রমাণ পেলেন গবেষকেরা।
গত ১৭ অগাস্ট বিজ্ঞানীদের কাছে একটি সিগন্যাল আসে, যাতে তারা জানতে পারেন ১৩০ মিলিয়ন বছর আগে দুটি নিউট্রন নক্ষত্রের সংঘর্ষ হয়। পৃথিবীর বুকে তখনও ডাইনোসর ঘুরে বেড়ায়। আর তার প্রভাব ছিল এতটাই বেশি যে সেই সংঘর্ষ শুধু গোটা মহাকাশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল তাই নয় সেইসঙ্গে একটি গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভও এসে পৌঁছায়। সেই তরঙ্গ পৃথিবীতে ধরা পড়তেই বিশ্বের সব জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা খুঁজতে থাকেন তাহলে কোথা থেকে এর উৎপত্তি। সেখানেই দেখা যায় ঘর্ষণের ফলে এক হলুদ উজ্জ্বল আলো উৎপন্ন হয়। আর সেই আলোতেই সোনা, রুপা ও প্ল্যাটিনামের উপস্থিতির ইঙ্গিত পান গবেষকেরা।
নিউট্রন নক্ষত্র হল ভীষণ ভারি একটি নক্ষত্র। যার আয়তনের এক চামচ নিলে তার ওজন হবে কয়েক বিলিয়ন টন। আকারে কলকাতা শহরের মত হলেও তার ওজন হবে এভারেস্টের সমান। অগাস্টে যে নক্ষত্রের সংঘর্ষের সিগন্যাল ধরা পড়ে, তা সূর্যের মত ভারি কিন্তু দৈর্ঘ্যে মাত্র ১০ কিলোমিটার। NGC 4993 নামে এক গ্যালাক্সিতে ছিল এটি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন