টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কইকে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। পুরুষ শাসিত দেশটিতে কইকে জয়লাভ করলে তিনিই হবেন জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে জাপানে নারী অধিকার বিষয়ে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
টোকিও’র গভর্নর কইকে রাজনীতিতে প্রবেশের আগে টেলিভিশনের জনপ্রিয় উপস্থাপক ছিলেন। অত্যন্ত ধীর গতিতে রাজনীতিতে আসলেও তিনি শক্ত স্থান করে নিয়েছেন খুব অল্প সময়ে। এক বছরের বেশি হয়নি, তিনি টোকিওর গভর্নর হয়েছেন। অবশ্য মিডিয়ার মতোই রাজনীতিতেও সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন ইউরিকো।
নিউ কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে বর্তমান ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বিপক্ষে লড়বেন তিনি। গতমাসে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য তিনি যে প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করেছেন তাও বেশ ব্যতিক্রমী। ভিডিওতে ইউরিকোকে সরাসরি দেখা না গেলেও নারী জাগরণের বিষয়টি তিনি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
কইকে সমর্থকদের মতে, জাপানের রাজনীতিতেও তিনি নতুন কিছু দেখাতে পারেন। জাপানের নারীদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে বলে তার অভিযোগ। অধ্যাপক টমোইাক লাউয়ে বলেন, আমি ইউরিকোকে অনেক আগে থেকে চিনি। তিনি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি মিডিয়া খুব ভালো বুঝেন। তিনি ইংরেজি এবং আরবি খুব ভালো বলতে পারেন।
৬৫ বছরের এই নারী নেত্রী ১৯৫২ সালে পশ্চিশ জাপানের আশিয়া সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে মিশরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। ২০০২ সালে তিনি এলডিপিতে যোগদান করে ২০০৩ সালে তিনি পরিবেশ মন্ত্রী হন। পরে ২০০৭ সালে তিনি শিনজো আবের আমলে ২০০৭ সালে প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে এলডিপির প্রধান হিসেবে নির্বাচনে জয় লাভ করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন