জিম্বাবুয়েতে সেনাবাহিনী জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র দখলের পর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মূলত সন্ত্রাসীদের ধরতেই তাদের অভিযানের লক্ষ্য। অবশ্য জেবিসি’তে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর দখলে তবে প্রেসিডেন্ট বরার্ট মুগাবে নিরাপদে আছেন।
.
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, শুধু রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনই নয়, জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী হারারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও দখলে নিয়েছে। বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির ভেতরে ভেতরে যে সংঘাত চলছে তারও ইঙ্গিত মিলেছে।
হারারের বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময়ের শব্দ শোনা গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
অবশ্য বুধবার সকালে মেজর জেনারেল সিবুসিসো মায়ো সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, সেনাবাহিনীর এই অভিযানে কোনো পক্ষ প্রতিরোধ বা আক্রমণ করে বসলে তার কঠিন জবাব দেয়া হবে। একই সঙ্গে দেশটির সব সেনা সদস্যের ছুটি বাতিল করে ব্যারাকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফলে বিষয়টি পরিস্কার যে, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেনা ক্যাম্পে ফিরতে ব্যর্থ হবে তাদের অভ্যুত্থানের বিরোধী হিসেবে ধরে নেয়া হবে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট মুগাবে নিরাপদ আছে বলা হলেও তার বাসভবনের কাছে গুলি ও বিস্ফোরণে শব্দ শোনা গেছে। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে থাকা স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার ভোর থেকেই এমন শব্দ তারা শুনতে পাচ্ছেন।
সরকারের একটি সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্টের স্ত্রী গ্রেস মুগাবের সমর্থকদের ধরতে শুরু করেছে। এদের মধ্যে দেশটির অর্থমন্ত্রীও রয়েছেন।
এমন অবস্থায় হারারে’তে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস দেশটিতে থাকা তাদের সকল নাগরিককে নিরাপদে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার পেক্ষাপটে দূরে থাকা দূতাবাস কর্মীদের যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
অবশ্য জিম্বাবুয়ের এমন পরিস্থিতির বিষয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কনস্টানটিনো চিয়েংগা। গত সোমবার তিনি বলেছিলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার নিরসন না হলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন