আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোর একটি জিম্বাবুয়ে। মুদ্রাস্ফীতির উল্লম্ফন ঠেকাতে নিজেদের মুদ্রার পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয় দেশটি। সেই দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। তবে তার প্রাসাদ দেখে কখনো মনে হবে না জিম্বাবুয়ের আসল চিত্র কী।
.
মুগাবে স্ত্রী গ্রেসকে তার উত্তসূরি নির্বাচন করছেন এমন গুঞ্জনের মধ্যে গত ১৪ নভেম্বর মধ্যরাতে দেশটির নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে তিনি গৃহবিন্দ। অবশ্য এরই মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গেছে। পরবর্তীতে বক্তব্যও দিয়েছেন জাতির উদ্দেশে।
শনিবার মুগাবের পদত্যাগ দাবিতে গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার নিজের রাজনৈতিক দলের প্রধানের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পদত্যাগ না করলে অভিশংসনেরও হুমকি দেয়া হয়।
এরই মধ্যে ৯৩ বছর বয়সী মুগাবের দুর্নীতির খবর বের হতে শুরু করেছে। দুর্নীতির ব্যাপকতা বোঝাতে রূপকথাসম তার প্রাসাদ ও অন্দরমহলের ছবি প্রকাশ করেছে দ্য জিম্বাবুয়ান নামের একটি পত্রিকা।
স্বাধীনতার পর থেকে মুগাবে গত ৩৭ বছর ধরে জিম্বাবুয়ে শাসন করছেন। তার বিলাসবহুল বাড়িটিকে ‘ব্লু রুফ বা নীল ছাদ’ নামে ডাকা হয়। বিশাল বাড়িটিতে বেডরুমই আছে ২৫টি। ৪৪ একর জমির উপর নির্মিত বাড়িটির আনুমানিক মূল্য ১০ মিলিয়ন ডলার।
মানুষজনের কোলাহল থেকে অনেক দূরে অবস্থিত মুগাবের প্রাসাদ। সেটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়।
একজন চাইনিজ আর্কিটেক্টের ডিজাইনে একটি সার্বিয়ান প্রতিষ্ঠান বাড়িটি নির্মাণ করে দেয়। বাড়ির কম্পাউন্ডের ভেতর দুটি লেক রয়েছে।
মুগাবে তার দেশের জনগণের দুঃখ-দুর্দশা থেকে বহুদূরে নিজের বাড়িতে বিলাস ব্যসনে ডুবে থাকেন বলে মন্তব্য করেছে দ্য জিম্বাবুয়ান।
মুগাবে সম্পর্কে পত্রিকাটিতে বলা হয়, ‘তার লোভের কারণে দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে। তিনি যখন এমন বিলাসিতার মধ্যে বাস করেন, তখন তার দেশের মানুষ না খেয়ে, চিকিৎসার অভাবে মারা যায়।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন