ইউনাইটেড নেশন্স কমান্ড বা ইউএনসি প্রচার করার পর থেকে ভিডিওটি নিয়ে সারা বিশ্বেই চলছে আলোচনা। লাখ লাখ মানুষ দেখছেন আর অবাক হয়ে ভাবছেন, ‘‘এমন ঝুঁকি নিয়েও কেউ দেশ ছাড়ে!’’
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক উত্তর কোরীয় সৈন্য কীভাবে প্রায় উন্মাদের মতো দৌড়ে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছেন। যাত্রা শুরু হয়েছিল অনেক আগে। অনেকক্ষণ গাড়ি চালিয়ে বৈরিভাবাপন্ন দুই দেশের সীমান্তের ওই জায়গাটায় এলেন। তারপর গাড়ি থেকে নেমেই দৌড়। উত্তর কোরিয়ার অন্য সৈন্যরা তাকে ধরার জন্য তখন ধাওয়া করে। কিন্তু তিনি থামবেন না। যে করেই হোক দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতেই হবে তাকে। খুব কাছ থেকে চারবার গুলি করেও উত্তর কোরিয়ার অন্য সৈন্যরা তাকে থামাতে পারেনি।
এই গাড়িতে করেই দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যটি
সহযোদ্ধাকে ধরতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরাও নাকি অল্প সময়ের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সীমানায় ঢুকে পড়েছিলেন। এর মাধ্যমে কমিউনিস্ট দেশটির সৈন্যরা ১৯৫৩ সালে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্খন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চুক্তি অনুযায়ী সৈন্যরা যে গুলি করেছেন, সেটিও অন্যায়। দেশ ছাড়তে মরিয়া এক সৈন্যকে আটকাতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা সত্যিই চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন কিনা এ নিয়েই এখন চলছে ব্যাপক আলোচনা। তবে গুলিতে আহত ওই সৈনিকের এ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
জানা গেছে, ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম ‘ওহো’। যুক্তরাষ্ট্রের হেলিকপ্টারে করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। সেখানে দুটি অস্ত্রোপচার হয়েছে তার শরীরে। বের করে নেয়া হয়েছে গুলি। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ওহো এখন বেশ সুস্থ। টেলিভিশনে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র দেখছেন তিনি!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন