সদ্য পদত্যাগ করা জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ও তার স্ত্রীকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কোন অপরাধের জন্য তাদের বিচার করবে না নতুন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওবারসন মুগওয়াইসি জানান, মুগাবের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে তাকে ও স্ত্রী গ্রেসকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেইসাথে দেশে নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে তাদের। খবর, সিএনএন।
.
মঙ্গলবার মুগাবে পদত্যাগ করার পর স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, দেশ ত্যাগের সুযোগ পাবার শর্তে ক্ষমতা ছেড়েছেন মুগাবে। তবে তার স্ত্রী গ্রেসকে বিচারের মুখোমুখি করবে সেনাবাহিনী। কিন্তু শেষমেশ দায়মুক্তি পেলেন দেশটির আলোচিত এ রাজনৈতিক দম্পতি।
স্বাধীনতা অর্জনের পরেই ক্ষমতায় আসেন মুগাবে। টানা ৩৭ বছর ক্ষমতা থাকার সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আছে। তার সময়ে বিশেষ করে আশির দশকে বিরোধীদের দমনে প্রায় ২০ হাজার মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। স্ত্রী গ্রেস সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও ওঠে দুর্নীতি সহ নানা অভিযোগ।
এদিকে শুক্রবার এমারসন নানগগবা দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এদিন জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামে প্রায় ৬০ হাজার সমর্থকদের সামনে শপথ শেষে এক বক্তৃতায় তিনি দেশের ও জনগণের সেবা করার প্রতিশ্রুতি দেন। সেখানে তিনি মুগাবের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনও করেন। যদিও সাবেক প্রেসিডেন্ট উক্ত শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মুগাবের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে এমারসনকে বরখাস্ত করার পর সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে মুগাবে ক্ষমতাচ্যুত হন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে তিনি স্বৈরাচারী কায়দায় জিম্বাবুয়ে শাসন করেন।
এরপর ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে উত্তরসুরি হিসেবে তার স্ত্রী গ্রেসকে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা করলে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তার এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন