ভারতের রাজস্থানে উগ্র হিন্দুবাদীদের কথিত ‘লাভ জিহাদ’-এর শিকার হয়ে নৃশংসভাবে নিহত হলেন এক মুসলিম যুবক। তার নাম মোহাম্মদ আফরাজুল। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মালদহে।
তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ভিডিও এখন সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে ভাইরাল। যুবকটির ‘অপরাধ’ ভিন্নধর্মে ভালোবাসা ও বিয়ে। ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উঠছে নিন্দার ঝড়ও।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে লাঠি দিয়ে মার, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেয়া হচ্ছে ওই যুবকে। লাল জামা, সাদা প্যান্ট, পায়ে সাদা স্নিকার- কার্যত কেতাদুরস্ত এক ব্যক্তির চরম হিংসার শিকার আফরাজুল তখন বারবার প্রাণভিক্ষা চাইছে। কিন্তু ওই ব্যক্তি কোনো কথায় কান না দিয়ে আঘাত করেই চলেছে তাকে। এরপর মাটিতে ফেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয়া হয়। মৃতপ্রায় যুবককে বাঁচাতে কেউই এগিয়ে আসেননি। বরং লেন্সবন্দি করে ভাইরাল করা হলো গোটা ঘটনার ভিডিও। লাল জামা পরিহিত ওই ব্যক্তিকে বলতেও শোনা যায় যে, এই কাজের জন্য ‘ উচিত শিক্ষা’ দেয়া হয়েছে তাকে। শোনা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই লাল জামা পরিহিত যুবকের নাম শম্ভুলাল রেগার। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিডিওয় এক তরুণীকেও দেখা যাচ্ছে, ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে। বেধড়ক মার খেয়ে তখন বাঁচার আর্তি জানানোর ক্ষমতাটুকুও ছিল না মালদার বাসিন্দা বছর চব্বিশের যুবকের। তবে তখনো জীবিত ছিলেন যুবকটি। আর তা বুঝতে পেরেই কেরোসিন ঢেলে দেশলাই জ্বালিয়ে জীবন্ত অবস্থাতেই পুড়িয়ে মারা হয় তাকে।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক বছর আগে। কাজের সূত্রে রাজস্থানে গিয়েছিলেন মালদার যুবক মোহাম্মদ আফরাজুল। সেখানেই রাজস্থানের মেয়ে রুমা রানির প্রেমে পড়ে যান তিনি। সেই শুরু হয় সমস্যার। সমাজ, পরিবার, ধর্মকে অগ্রাহ্য করে তাদের ভালোবাসা পরিণতি পায়। বিয়ে করেন দুজনে। কিন্তু শেষমেশ ভিন্নধর্মে ভালোবাসা ও বিয়ে করার ‘অপরাধে’ –র মূল্য চোকালেন আফরাজুল নিজের প্রাণ দিয়ে। ঘটনাস্থল থেকে আফরাজুলের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, পাওয়া গেছে একটি কুঠার ও বাইক। খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।
রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়া এ ব্যাপারে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, এই খুনে সাম্প্রদায়িক কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখতে।
সূত্র : বর্তমান পত্রিকা
নয়াদিল্লিতে ৮৭ বছরের বৃদ্ধের যৌন লালসার শিকার আট বছরের শিশু
ফের এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। ৮৭ বছরের বৃদ্ধের যৌন লালসার শিকার হলো আট বছরের এক শিশুকন্যা।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম রতন সিং। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকালে দিল্লির নাড়েলা এলাকায়। বাড়ির সামনে খেলছিল বছর আষ্টেকের ওই শিশুটি। খেলার সময়ে প্রতিদিনের মতোই পাশের বাড়ি ওই বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার। সেই বৃদ্ধই তাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে শিশুটিকে তার বাড়ির সামনে থেকেই তুলে নিয়ে যায় ওই বৃদ্ধ। অভিযোগ, লামপুর গ্রামের একটি মহিষের খাটালে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ওই বৃদ্ধ। খাটালের চালা না থাকায় বিষয়টি দেখতে পান পাশের বাড়ির এক মহিলা। তখনই স্থানীয়দের খবর দেন তিনি। কিন্তু স্থানীয়রা জড়ো হওয়ার আগেই পালিয়ে যায় বৃদ্ধ।
থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে পসকো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শিশুকন্যাটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। চলছে কাউন্সিলিংও।
সূত্র : বর্তমান পত্রিকা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন