আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গত ৩০ নভেম্বর পাকিস্তান, তুরস্ক ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিন দেশ মিলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ।
পাকিস্তানের কাছ থেকে আজারবাইজান সুপার মুশাক প্রশিক্ষণ বিমান কিনছে উল্লেখ করে আজারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলমার মামাদিয়ারভ পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হন। তিনি বলেন, আমরা প্রতিরক্ষা উৎপাদনের জন্য যৌথ প্রকল্প গ্রহণ করতে পারি এবং এ ক্ষেত্রে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করতে পারি।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাসুসোগ্লু তার সহকর্মীর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি না, বরং একে অন্যের পরিপূরক হবো।
আজারবাইজান ১০টি সুপার মুশাক বিমান কেনার ব্যাপারে গত সেপ্টেম্বরে চুক্তি চূড়ান্ত করে। ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ ব্যাপারে চুক্তি সই হয়।
পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্সে (পিএসি) ২০০২ সালে মুশাক বিমান তৈরি শুরু করে। বর্তমান বিমানগুলো উন্নত সংস্করণ। এই বিমান ক্রেতার তালিকায় তুরস্কও রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটি ৫২টি সুপার মুশাক বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছে।
পিএসি সুপার মুশাক বিমানে একটি ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল এন্ড ইনফ্রারেড সেন্সর টারেট যুক্ত করেছে, এতে এয়ার-টু-সারফেস ক্ষেপনাস্ত্র সংযুক্ত করা যাবে। ফলে প্রশিক্ষণের বাইরেও এই বিমান ব্যবহার করা যাবে।
অন্যদিকে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের বড় বাজার পাকিস্তান ও আজারবাইজান। তুরস্কের কাছ থেকে টি১২৯ এ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তুরস্কের তুলনায় পাকিস্তান ও আজারবাইজানের শিল্প ছোট। মূলত এ কারণেই তুরস্কের সঙ্গে এই ত্রিপক্ষীয় যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব।
আজারবাইজানের কাছে পাকিস্তান তার জেএফ-১৭ থান্ডার মাল্টি-রোল জঙ্গিবিমানও বিক্রি করতে আগ্রহী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন