যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতির বিপক্ষে মাঠে নামছেন এরদোগান। এজন্য তিনি বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইসেনবেলা বিমানবন্দরে নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে তিনি তার এ অবস্থানের কথা জানান।
এরদোগান বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে পোপ ফ্রান্সিস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, জার্মান, যুক্তরাজ্য ও স্পেনসহ অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কথা বলব। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সঙ্গে তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
এরদোগান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন তিনি সঠিক। কিন্তু আসলে তিনি ভুলের মধ্যে আছেন। প্রকৃতপক্ষে আমরাই সঠিক অবস্থানে রয়েছি।
এ সময় এরদোগান আগামী সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর সভায় বিষয়টি আলোচনার কথা বলেন।
এর আগে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালী ইলদ্রিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে তাদের নীতির 'প্যান্ডোরা বক্স' খুলে গেছে। তুরস্কের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কোনো মূল্য নেই।
১৯৯৫ সালেই মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত এক আইনে ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে সাবেক সব প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য স্বাক্ষর করেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর একই পথে হেঁটেছিলেন ট্রাম্পও। তবে এবার বেঁকে বসেছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর বিলম্বের জন্য প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের শেষ দিন। আর এ দিন স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৮০ সালে তারা পূর্ব জেরুজালেমকে অধিগ্রহণ করে নেয় এবং ইসরায়েলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী ওই অঞ্চলকে দখলকৃত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন