যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে আরব বিশ্ব সবসময় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। শুধু এ অঞ্চলের জ্বালানি সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নয়, ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এর প্রধান কারণ। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে পারমাণবিক শক্তি অর্জন পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় অনমনীয় থাকলেও মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার দিকটি বিবেচনায় নিয়ে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা হতো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরাইল প্রশ্নে মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে রাখঢাকের পর্দাটি সরিয়ে নিয়েছেন। জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবার তা দৃশ্যমান হয়ে উঠল।
ইসরাইলকে ইহুদিবাদী ধর্মীয় রাষ্ট্র হিসেবে পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান পরিস্থিতির মতো সুসময় মনে হয় আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আসবে না। অপর দিকে, ইসরাইলও এমন সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, আরব দেশগুলোতে ইসরাইল এমন কিছু বন্ধু পেয়েছে, যা ইসরাইলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। ইসরাইলের এই দুই পরম বন্ধু হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। চল্লিশের কম বয়সী এই দুই তরুণ মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি সম্ভবত বদলে দিতে চলেছেন।
প্রেসিডেন্ট্র ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর জ্যারেড কুশনার ইতোমধ্যে তিনবার সৌদি আরব সফর করেছেন। প্রতিবার মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি যুবরাজের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। এরপর তার গন্তব্য ছিল ইসরাইল। তিনি চলতি বছরের মে ও আগস্ট মাসে সৌদি আরব সফর করেছেন। সর্বশেষ, অক্টোবর মাসের শেষ দিকে তিনি গোপনে সৌদি আরব সফর করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডিনা পাওয়েল ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত জেসন গ্রিনবল্ট। জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার বিষয়ে তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সাথে আলোচনা করেন বলে ধারণা করা হয়।
অপর দিকে, ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে জ্যারেড কুশনারের পরিবারের আগে থেকেই ঘনিষ্ঠতা ছিল।
জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা এবং মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ঘোষণার পর মুসলিম বিশ্ব যখন উত্তাল, সৌদি আরব তখন অনেকটাই নীরব। নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ব্যাপারে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমের কাছে আবুদিস গ্রামকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে মেনে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণে আংশিক সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে এই রাজধানী বানানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। এর মাধ্যমে জেরুসালেমের ওপর ফিলিস্তিনি জনগণ ও মুসলিম বিশ্বের দাবি অনেকটাই খারিজ করে দেয়া হলো। জ্যারেড কুশনারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিন সালমান এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে মনে করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি আবর্তিত হচ্ছে কুশনারকে কেন্দ্র করে। যেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্সটিলারসনের ভূমিকা নেই বললেই চলে। জ্যারেড কুশনার অন্যান্য ইহুদির মতো ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটকে দেখছেন। ৩৫ বছর বয়সী জ্যারেড কুশনার যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত একটি ইহুদি পরিবারের সন্তান। লেখাপড়া করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। কুশনারের সাথে বিয়ের আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেন। স্বামী-স্ত্রী দুই ধর্ম বিশ্বাসী হবার মতো সেক্যুলার জ্যারেড কুশনার নন। তিনি কিভাবে ইসরাইলকে দেখেন তা নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টে ইসরাইলের সাথে জ্যারেড কুশনারের পরিবারের সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। কুশনার যখন হাইস্কুলের ছাত্র, তখন নেতানিয়াহু তাদের বাড়িতে আসেন এবং কুশনারের ঘরে রাত কাটান।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইহুদি ধর্মযাজক হিরশি জারখি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, কুশনারের কাছে ইসরাইল নিছক রাজনীতির বিষয় নয়। ইসরাইল তার পরিবার, জীবন এবং জনগণ। ইসরাইলের সাথে কুশনারের রয়েছে ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় সম্পর্কের বন্ধন। তার দাদি পোল্যান্ডে হিটলারের হলোকাস্ট বা ইহুদি হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যান হামাগুড়ি দিয়ে একটি টানেল পার হয়ে। তার দাদা ওই হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে রক্ষা পান কয়েক বছর যাবৎ একটি গর্তে লুকিয়ে থেকে। গোঁড়া ইহুদি হিসেবে কুশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল ইসরাইলের সুরক্ষা, গণহত্যার স্মরণ এবং ইহুদিদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য।
জ্যারেড কুশনারের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের ধনী পরিবারগুলোর একটি। কুশনারের নাম যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট জগতেও সুপরিচিত। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করে তিনি পরিবারের বিপুল ভাগ্য গড়ায় সাহায্য করেছেন। কুশনার যখন নিউ ইয়র্ক ভার্সিটিতে এমবিএ-আইন কোর্সের ছাত্র, তিনি তাদের পারিবারিক রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্যে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ২০০৬ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই কুশনার ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ‘নিউ ইয়র্ক অবজার্ভার’ পত্রিকা কিনে নেন। তখন তার বাবা একটি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জেলে যান। বাবা জেল থেকে বের হওয়ার বছর ২০০৭ সালে কুশনার নিউ ইয়র্কের ফিফথ অ্যাভিনিউতে ৪১তম অফিস বিল্ডিং কিনলেন ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। তখন পর্যন্ত এটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যয়ে অফিস ভবন কেনার রেকর্ড। পরের বছর তিনি হয়ে গেলেন বাবার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী।
জ্যারেড কুশনার নাকি তার বাবার একান্ত ভক্ত। ২০০৪ সালে কুশনারের পরিবার একটি কেলেঙ্কারির সম্মুখীন হয়ে শেষে তা কাটিয়ে ওঠে। তার বাবা চার্লস কর ফাঁকি দেয়া, অবৈধ প্রচারণার অর্থজোগানো এবং সাক্ষ্য বিকৃতির দায়ে গ্রেফতার হন। নিজের ভগ্নিপতিকে গোপন অভিসারে প্রলুব্ধ করার জন্য তিনি একজন দেহপসারিণীকে ভাড়া করেছিলেন। এরপর গোপনে এটা রেকর্ড করে তিনি বোনের কাছে পাঠান। পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে এটা ঘটেছিল। পরিণামে চার্লস কুশনারকে জেল খাটতে হয় ১৬ মাস।
পারিবারিক প্রতিষ্ঠান দি সেরিল অ্যান্ড চার্লস ‘কুশনার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন’ নামে বিভিন্ন মানবসেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে থাকেন কুশনার পরিবার। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বছরে সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করা হয় দুই মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং এর বিরাট অংশই ইহুদিদের জন্য ব্যয় করা হয়। নিউ জার্সিতে গোঁড়া ইহুদিদের একটি প্রাথমিক এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কুশনার পরিবারের নাম বহন করছে জোসেফ কুশনার হিব্রু একাডেমি এবং রি কুশনার ইয়েশিভা হাইস্কুল। দুটোই লিভিংস্টনে অবস্থিত। স্কুল দুটোর নাম রাখা হয়েছে জ্যারেডের দাদা-দাদির স্মরণে যারা নাৎসি হত্যাযজ্ঞের কবল থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনে তাদের পরিবার বিভিন্ন সময় অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুপ্রেরণা যে জ্যারেড কুশনারকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে আগ্রহী করে তুলছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ধর্মীয় দৃষ্টিতে ইসরাইলকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা কুশনারের হয়তো অন্যতম লক্ষ্য ছিল। এ ক্ষেত্রে তিনি তার মতো একজন তরুণ মিত্র পেয়ে গেছেন। সৌদি আরবে ২০১৪ সালে বাদশাহ সালমান সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে তার কনিষ্ঠ স্ত্রীর জ্যেষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ হয়ে উঠেছেন সৌদি আরবের সবচেয়ে ক্ষমতাধর লোক। তার এ ক্ষমতার প্রতাপ সৌদি সীমানা ছাড়িয়ে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে সব কম বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্ম ১৯৮৫ সালে। তার মা প্রিন্সেস ফাহদা বিন ফালাহ বিন সুলতান বিন হাতলান। তিনি সৌদি আরবের আজমান গোত্রের মেয়ে। মোহাম্মদ বিন সালমান ২০০৮ সালে প্রিন্সেস সারাহ বিন মাশহুর বিন আবদুল আজিজ আল সউদকে বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। বিন সালমান প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছেন রিয়াদে। এরপর আইন বিষয়ে কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ ঘটে ২০০৭ সালে। এ বছর তাকে মন্ত্রিপরিষদের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। ২০০৯ সালে তিনি তার বাবা বাদশাহ সালমানের উপদেষ্টা হন। এ সময় তিনি রিয়াদের গভর্নর ছিলেন। ২০১৫ সালের ২৩ জুন তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় তিনি ইয়েমেনে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। চলতি বছরের জুন মাসে তাকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করা হয়। তিনি সৌদি আরবের অর্থনীতি ও উন্নয়নবিষয়ক কাউন্সিলের প্রধান। ২০১৬ সালের এপ্রিলে তিনি ভিশন-২০৩০’ ঘোষণা করেছেন যেখানে তিনি তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তরুণদের নিয়ে ‘মধ্যপন্থী’ সৌদি আরব গড়ার নীতি ঘোষণা করেন। একই সাথে, তিনি সৌদি আরবের প্রধান প্রতিপক্ষ ইরানবিরোধী জোরালো পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছেন।
কুশনার ও বিন সালমানের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সঙ্ঘাতের সূচনা করতে যাচ্ছে। আরব বসন্তের ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, তাতে কুশনার-সালমান-নেতানিয়াহু আরো নতুন যুদ্ধ ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছেন। সৌদি আরব, ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে এক নম্বর শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সৌদি-মার্কিন ভুলনীতি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে আরো বেশি শক্তিশালী করছে।
ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ইরানের প্রভাব আরো বেড়েছে। সিরিয়ায় ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র বাশার আল আসাদ সরকার টিকে গেছে। লেবাননে সাদ হারিরি সুন্নী রাজনৈতিক দলের সাথে শিয়া গেরিলা সংগঠন হিজবুল্লাহকে নিয়ে সরকার গঠন করেছে। ফলে ইরাক থেকে সিরিয়া পর্যন্ত ইরানের প্রভাব বেড়েছে। অপর দিকে, ইয়েমেনে শিয়া হাউছি যোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েও সাফল্য অর্জন করতে পারেনি সৌদি আরব। কাতারের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ আরোপের পর ইরান, তুরস্ক ও কাতারের মধ্যে এক ধরনের মৈত্রী গড়ে উঠেছে। এর পেছনে রয়েছে রাশিয়ার সমর্থন। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু চাইছেন লেবাননে হিজবুল্লাহকে কোণঠাসা করতে এবং একই সাথে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে। ফিলিস্তিনের আরো কিছু ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে নিতে চান নেতানিয়াহু। এমনকি, সৌদি আরবকে সামনে রেখে ইরানের সাথে সীমিত যুদ্ধের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরাইলের। এখন জেরুসালেম ইস্যুতে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স জড়িয়ে পড়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সৌদি আরব। কুশনার-নেতানিয়াহু যুদ্ধবাজ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিন সালমানকে সম্ভবত সে পথেই নিয়ে যাচ্ছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন