ভুটান সরকার যখন ২০১৮ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ১১তম পরিকল্পনার অধীনে রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৩ শতাংশের নিচে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে, তখন দেশটির রফতানি পণ্যের উপর ভারতের পণ্য ও সেবা কর (জিএসটি) বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি ধীর হওয়ায়ও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনই অভিযোগ ভুটানের সংসদ সদস্যদের।
সরকারের মোট ব্যয় তার রাজস্ব ও অনুদানের সম্মিলিত পরিমাণের চেয়ে বেশি হলেই রাজস্ব ঘাটতি তৈরি হয়। সাধারণত ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রতিবেদন অনুযায়ী, দশম পরিকল্পনার শেষ অর্থবছরে আনুমানিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪.৮ বিলিয়ন নগুট্রাম (ভুটানি মুদ্রা)।
সম্প্রতি পানবাংয়ের এমপি সংসদে বলেন, জিএসটির প্রভাব, পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অনেক বেশি ঘাটতির আভাস দিয়েছে।
সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে তিনি বাজেট ঘাটতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। অর্থমন্ত্রী নামগে দরজি জানান, চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০১২ -২০১৩ অর্থবছরে যেখানে ২৫শতাংশ ছিল। তা চলতি অর্থবছরে ২১ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর কারণ হল, সরকার অন্যান্য উৎস থেকে রাজস্ব ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য জিএসটি’র প্রভাবে আনুমানিক ক্ষতি ধরা হচ্ছে ১০০ কোটি নগুট্রাম। গত অর্থবছরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ৩.০৩ বিলিয়ন নগুট্রাম আবগারি কর পাওয়া গেছে। জিএসটির কারণে আবগারি কর আগের চেয়ে কমে যাবে। এর প্রভাব পরের অর্থবছরে দেখা যাবে।
পানিবিদ্যুৎ নির্মাণে বিলম্বের কারণে ১১ বিলিয়ন নগুট্রাম রাজস্ব ক্ষতির মধ্যে ১০ বিলিয়ন অনুদানের মাধ্যমে উঠানো সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী জানান। এর মধ্যে ৫ বিলিয়ন ভারত সরকারের অর্থনৈতিক ইনসেনটিভ প্যাকেজ ও বাকিটা অন্যান্য উৎস থেকে এসেছে। ট্যাক্স রিভিশনের মাধ্যমে বাকি ক্ষতি কমানো হয়েছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন