গাজায় হামাসের কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনের ওই এলাকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েক দফায় রকেট উৎক্ষেপণ করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ওই বিমান হামলা চালানো হয়।
পরে গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে কেরেম শালম ও এরেজ সীমান্ত গতকাল থেকেই বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই দুই সীমান্তের মধ্যে কেরেম শালম দিয়ে পণ্য পরিবহন হয়। আর এরেজ সীমান্ত দিয়ে মানুষ পারাপার চলে।
এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার তিনটি সেনাদের তিনটি স্থাপনায় তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। ওই তিন স্থাপনা হামাস সেনারা প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র মজুতের জন্য ব্যবহার করত। ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেট ধ্বংস করার পর ওই হামলা চালানো হয়।
তবে ফিলিস্তিনের এক নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ১০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে হামাসের একটি নৌস্থাপনা এবং উত্তর গাজার শাতি শরণার্থীশিবিরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। হামলায় ওই সব স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং আশপাশের বেশ কয়েকজন অধিবাসী আহত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও যোগাযোগমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ চান সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁর দেশ সফর করুন। গত বুধবার কাৎজের মুখপাত্র এ কথা জানান। মন্ত্রী আরও বলেন, যুবরাজ ইসরায়েলে গেলে তা হবে এক ঐতিহাসিক সফর।
সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ইসরায়েলি নেতারা বারবার রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নের কথা বলে এসেছেন।
কাৎজের মুখপাত্র আরিয়ে শালিসার বলেছেন, সৌদি সংবাদমাধ্যম এলাফ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজের সফর কামনা করেন ইসরায়েলি মন্ত্রী। তবে এলাফ-এর অনলাইনে প্রকাশিত কাৎজের ওই সাক্ষাৎকারে তাঁর এই কামনা প্রকাশ হয়নি। এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারলেও আরিয়ে শালিসার দাবি করেন, মন্ত্রী ওই কথাটি বলেছিলেন।
মন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, তিনি সৌদি বাদশাহ সালমানের কাছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে রিয়াদ সফরের আহ্বান এবং যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমানের ইসরায়েল সফর কামনা করেন। তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, কারণ তিনি আঞ্চলিক শান্তি চান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন