ভারতে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ‘সুখ’ বিষয়ক মন্ত্রীকে একটি হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ খুঁজছে।
ওই রাজ্যের একটি আদালত ৫৩ বছর বয়স্ক লাল সিং আর্যকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবার পর মঙ্গলবার থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। খবর বিবিসির
২০০৯ সালে বিরোধী একজন রাজনীতিকের হত্যার জন্য তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর্য অবশ্য আগে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রাজ্যের নাগরিকদের সুখ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ভারতে মধ্যপ্রদেশেই প্রথম এবং একমাত্র সুখ বিষয়ক একটি দপ্তর গঠন করা হয়।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার এই দপ্তর গঠন করে। তাদের দায়িত্ব দেয়া হয় নাগরিকরা যাতে ‘সুখী হয় এবং রাজ্যের নাগরিকদের সহিষ্ণুতা বাড়ে’ সেটা নিশ্চিত করা।
‘মানুষ যাতে তার অন্তর্নিহিত সুখ উপলব্ধি করার মত পরিবেশে বাঁচতে সেই পরিবেশ গড়ে তোলার’ দায়িত্ব দেয়া হয় এই দপ্তরকে।
মধ্যপ্রদেশ ভারতের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় রাজ্যএবং সেখানে বাস করে সাত কোটি মানুষ।
এই দপ্তরকে সহায়তা করে স্টেট ইনস্টিটিউট অফ হ্যাপিনেস নামে একটি সংস্থা যাদের দায়িত্ব ‘সুখী হওয়ার উপায় বের করা’।
দপ্তরে কাজ করে হাজার হাজার ‘সুখসৃষ্টিকারী স্বেচ্ছাসেবী’ যারা ‘সুখী হবার উপায় নিয়ে পরামর্শ দেন এবং কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষকে জানান’।
এই দপ্তর গঠিত হবার পর থেকে এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন আর্য। তিনি বিমান চলাচল, সাধারণ প্রশাসন এবং দলিত ও উপজাতি কল্যাণ দপ্তরসহ আরও পাঁচটি দপ্তরের প্রধান।
১৯শে ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘পুলিশ তাকে খুঁজছে। আমরা ১৯শে ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা তাকে খুঁজে বার করতে পারব বলে মনে করছি,’ এএফপি বার্তা সংস্থাকে পুলিশ জানিয়েছে।
সুখবর নেই তিস্তা ইস্যুতে, আরো সময় চায় নয়াদিল্লি
এপ্রিলে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এবারো বহুল আলোচিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হচ্ছে না। হচ্ছে না গঙ্গা বাঁধ নির্মাণ চুক্তিও। এ দুইটি চুক্তির জন্য ঢাকার কাছে আরো সময় চেয়েছে নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে চুক্তি দু'টি নিয়ে আলোচনা হলেও শিগগিরই কোন সুখবর মিলছে না। তবে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চতুর্থ লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) আওতায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণের ঘোষণা দিতে পারে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার দুপুরে দু'দিনের ঝটিকা সফরে ঢাকা এসে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণ পৌঁছে দেয়া হয়। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের দিনক্ষণ জানান তার উপ-প্রেসসচিব এম নজরুল ইসলাম।
এবার ভারত সফরে দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এটিই প্রথম ঘটনা।
রাতে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সাথে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন জয়শঙ্কর। বৈঠক শেষে রাতে মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই বৈঠকটি ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের এজেন্ডা সেটিংয়ের। আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি, মিলিটারি কো অপারেশন, তিস্তা পানিবন্টন, বর্ডার কিলিং বন্ধ ও গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্প নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী।
বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি সহযোগিতা চুক্তির জন্য সম্মত হয়েছে দুই পররাষ্ট্র সচিব। প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ চুক্তিটি স্বাক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন, সড়ক ও রেলযোগাযোগ উন্নয়নসহ একাধিক খাতের কমবেশি ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের একটি তালিকা দিয়েছে ঢাকা। শুক্রবার সকালে দিল্লির উদ্দেশে তার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন