বিয়ের দাবিতে নেতার বাড়ির সামনে অবস্থান দুই সন্তানের জননীরবিয়ের দাবিতে নেতার বাড়ির সামনে অবস্থান দুই সন্তানের জননীর
বিয়ে করার দাবিতে প্রেমিকার অনশনের খবর প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। এবার ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। বিজেপির বহিষ্কৃত জেলা সভাপতির বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন কলকাতার এক তরুণী। এই ঘটনায় রোববার সকাল থেকে রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। কলকাতার বেহালার বাসিন্দা গার্গী মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা চার বছর ধরে তার সঙ্গে সহবাস করেন বিজেপির এক সময়ের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শুভ্র রায়চৌধুরি। কিন্তু এখন নানা অজুহাতে বিয়ে না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শুভ্র রায়চৌধুরি বলেন, তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।
এদিকে এক মহিলার এভাবে রাস্তায় ধরনায় বসে পড়া দেখে এলাকায় ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধরনারত গার্গীদেবীকে থানায় নিয়ে যায়। রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, শুভ্র রায়চৌধুরির বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধর্ষণ এবং ৩৯৩ ধারায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগকারিণী গার্গীদেবী নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেছেন। যদিও পুলিশের দাবি, ওই মহিলা বিবাহিত এবং তার দু’টি কন্যাসন্তান রয়েছে।
অভিযুক্ত শুভ্র রায়চৌধুরি বলেন, “গার্গী মুখোপাধ্যায় নামে বেহালায় এক বিজেপি নেত্রী আছেন শুনেছি। এর বাইরে ওই মহিলার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আমি বিজেপিতে যোগদান করছি। সেই কারণেই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।” তবে বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, “বর্তমানে শুভ্রবাবু আমাদের দলের কেউ নন। ফলে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাই না।” এদিকে বিজেপি থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পর শুভ্রবাবু আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের শিবিরে যোগদান করেছিলেন। যদিও তেমন সক্রিয়ভাবে তাঁকে দেখা যায়নি। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমন আর্চায বলেন, “শুভ্র রায়চৌধুরি একসময় জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন তবে তাঁকে দল থেকে অনেক দিন আগেই বহিষ্কার করা হয়ছে।”
বড়দিন পালন করা যাবে না স্কুলে, সতর্ক করল হিন্দু সংগঠন
খ্রিস্টান স্কুল হলেও পালন করা যাবে না বড়দিন। এমনই বার্তা দিল হিন্দু সংগঠন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। সংগঠনটি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হিন্দু যুব বাহিনীর একটি শাখা। তারাই এবার সতর্ক করে দিল, আলিগড়ের কোনো খ্রিস্টান স্কুলে যেন বড়দিন পালন না করা হয়। অথচ, উত্তরপ্রদেশের বেশিরভাগ খ্রিস্টান স্কুলেই হিন্দু পড়ুয়ার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভাপতি সোনু সবিতা বলছেন, ‘বড়দিন পালনের আড়ালে পড়ুয়াদের খেলনা, উপহার দিয়ে লোভ দেখানো হয়। পরে তাদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের।’ কিন্তু এবার স্কুলগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে সংগঠনটি। কোনো হিন্দু পড়ুয়াকে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার লোভ দেখালে ফল ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনটির দাবি, শিশুদের ভোলানো সহজ। তাই স্কুলে শিশুদের দামি উপহার দিয়ে লোভ দেখানো হয়, পুরোপুরি খ্রিস্টান হয়ে গেলে আরও খেলনা দেওয়া হবে। ওই শিশুরা নাকি বাড়ি গিয়ে বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরে, সে খ্রিস্টান হতে চায়। এতে বাবা-মায়েরা বিপাকে পড়েন। আর এভাবেই নাকি উত্তরপ্রদেশের মতো পবিত্র রাজ্যে পা রাখছে ‘বিদেশি’ ধর্ম, দাবি হিন্দু জাগরণ মঞ্চের। এই প্রথম নয়, উত্তরপ্রদেশে এর আগেও নানা উৎসব, অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছে একাধিক হিন্দু সংগঠন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন