বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে ফিলিস্তিনিদের দুর্বার গণআন্দোলনে ভীত হয়ে পড়েছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল। আন্দোলনরত ফিলিস্তিনিদের ওপর আরো বেশি হত্যা-নির্যাতন চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন যুদ্ধমন্ত্রী এভিগডোর লিবারম্যান।
তিনি গণযোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় ফিলিস্তিদেরকে ব্যাপকমাত্রায় হত্যার নির্দেশ দিয়ে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান। আমেরিকায় একই ধরণের আইন থাকার কথা উল্লেখ করে যুদ্ধমন্ত্রী বলেছেন, ভালো হয় এ বিষয়ে ইসরাইলও আমেরিকার নীতি অনুসরণ করুক।
ইসরাইলের ছয়টি দলের সমন্বয়ে গঠিত জোটের নেতারা কিছুদিন আগে একটি প্রস্তাব পাস করেন যাতে প্রতিবাদী ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার কথা বলা হয়েছে। ওই প্রস্তাবে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ফিলিস্তিনিদের কঠোর হস্তে দমন ও হত্যা করার জন্য সামরিক আদালতকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ এবং আমেরিকায় তরুণ ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ আন্দোলনে ভীত হয়ে ইসরাইল এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
আমেরিকায় যুদ্ধবিরোধী কর্মী ক্যান উকায়েভ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ তাদের উগ্র বর্ণবাদী চিন্তা-ভাবনারই ফসল। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চরম অবিচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেছেন, এর পেছনে পাশ্চাত্যের সমর্থন রয়েছে।
নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের দমন-পীড়ন থেকে তাদের মানবতা বিরোধী চরিত্রের বিষয়টি আগের চেয়ে আরো বেশী স্পষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট ও পরিসংখ্যান থেকে ইসরাইলি বর্বরতার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি ঘরবাড়ি ধ্বংস করে তারা সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরাইলের এ আচরণ জেনেভা কনভেনশনের ২৭ নম্বর ধারার লঙ্ঘন যেখান দখলদার শক্তিকে ওই অঞ্চলের জান মাল রক্ষার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন