মিসরের সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার এক জেলে নিহত হয়েছেন। মিসরীয় সেনাদের গুলিতে এই প্রথম কোনো ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। এর আগে ইসরাইলের সেনারা প্রায়ই ফিলিস্তিনি জেলেদের ওপর এ ধরনের গুলি চালাতো।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশন চ্যানেল আজ শনিবার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার রাফা উপকূলের কাছে মিসরের সেনারা ফিলিস্তিনের একটি মাছধরা নৌকায় গুলি চালায়। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন ৩৩ বছর বয়সী আবদুল্লাহ রামাজান জিদান নামে এক ফিলিস্তিনি। পরে তিনি মারা যান।
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস বিপুল বিজয় লাভের পর ২০০৭ সাল থেকে ইসরাইল গাজার ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে। এতে গাজার জনজীবনে নেমে এসেছে মারাত্মক বিপর্যয়। সেখানকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মিসরের সরকারও রাফা সীমান্ত বন্ধ রেখে ইসরাইলের সাথে অবরোধ বাস্তবায়নে শরীক হয়েছে। গাজাকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার বলা হয়।
মুক্তি পাচ্ছেন মিসরের কুখ্যাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মুক্তি পেতে যাচ্ছেন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মিসরের সাবেক ‘কুখ্যাত’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব আল-আদলি। ১১ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগে সাত বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল তার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর নিখোঁজ হয়ে যান হাবিব। আদালত তখন তাকে ‘পলাতক আসামি’ ঘোষণা করে। পরে গত বছর ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন হাবিব। এরপর মিসরের সর্বোচ্চ আদালত হাবিবের বিরুদ্ধে রায় বাতিল করে দেন।
আগের বিচারকাজে ত্রুটি ছিল উল্লেখ করে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী হাবিব ও তার মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে ১১ কোটি ডলার ফেরত দেয়া ও সমপরিমাণ জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের শাসনামলে হাবিব আদলি তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন।
২০১১ সালে আরব বসন্তের মাধ্যমে তার পতন হয়। হোসনি মোবারকের মতো হাবিবের বিরুদ্ধেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছেন। হাবিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি আরব বসন্তের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।- আলজাজিরা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন